দেশ বিদেশ
রাজধানীতে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম চালু করা হচ্ছে: মেয়র সাঈদ খোকন
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
রাজধানীর নাজুক ট্রাফিক সিস্টেম থেকে মুক্তির জন্য ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। এজন্য জাইকার অর্থায়নে ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গতকাল নগরীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে নির্মল বায়ু ও টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প (কেইস) আয়োজিত ক্লিন অ্যান্ড সেইফ মোবিলিটি শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মেয়র বলেন, ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা খুবই নাজুক। সড়কের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সিটি করপোরেশনের পদক্ষেপ অপ্রতুল। কিন্তু তারপরও ডিএসসিসি জরুরি ভিত্তিতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, নিরাপদ সড়ক সৃষ্টি করা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকা, রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ও জেব্রা ক্রসিং ব্যবহারে উৎসাহিত করা, বিনা কারণে হর্ন বাজানো নিরুৎসাহিত করা, পথচারী চলাচলে ফুটপাথ ব্যবহার করা, লেন মেনে গাড়ি চালানো, স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র গাড়ি থামানো ও যাত্রী উঠা নামানো বন্ধ, মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ি ব্যবহার ও কালো ধোঁয়া নির্গত থেকে বিরত থাকা। সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের ইন্টেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেমের জন্য মহানগরীর গুলিস্তান, পল্টন, মহাখালি ও গুলশান-১ এ চারটি ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হবে। এতে ভেহিকুলার ইমেজ ডিটেক্টর ভিডিও ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চলমান গাড়ির সংখ্যা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরিং করা হবে। পৃথক লেন অনুসরণ করে গাড়ি চালানোর পাইলটিং কাজ চলমান রয়েছে। ডিএসসিসির ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৭৫ জন জনবল নিয়ে একটি কারিগরি ইউনিট সৃষ্টির প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মেয়র বলেন, আমরা কেইস প্রকল্পের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ৯২টি সড়ক ইন্টারসেকশনে জেব্রা ক্রসিং, লেন সেপারেটর ডট বা সলিড রোড মার্কিং স্থাপন ও ২৯৪টি পথচারী পারাপার নির্মাণসহ ৬০০টি ট্রাফিক সাইন লাগাবো। তিনি বলেন, আমাদের স্লোগান হচ্ছে আমাদের পথ আমাদের হাতেই নিরাপদ। অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, কলামিস্ট আবুল মকসুদ, নগরবিদ মোবাশ্বের হোসেন, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক রকিবুল রহমান, কেইস প্রকল্পের পরিচালক সেহাব উল্ল্যাহ উপস্থিত ছিলেন।