বাংলারজমিন

পাস বন্ধ করে দেয়ায় কসবা সীমান্ত হাটে যেতে পারেনি ক্রেতারা

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

১৩ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ৯:১৮ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত হাটে গতকাল রোববার থেকে বাৎসরিক কার্ড ছাড়া কাউকে যেতে দেয়া হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে একদিনের প্রবেশপত্র (পাস) না দেয়ায় শতশত ক্রেতা হাটে কেনাকাটা করতে পারেনি। এতে করে ব্যবসায়ীদের মালামাল বিক্রি করতে না পেরে ফেরত আনতে বাধ্য হয়েছে। লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদেরকে। এর আগে প্রতি রোববার প্রতি দেশ থেকে এক হাজার ব্যক্তিকে হাটে কেনাকাটা করতে প্রবেশপত্র (পাস) দেয়া হতো। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে; প্রত্যেক রোববার যথারীতি এ হাট বসে। বাৎসরিক কার্ডছাড়াও প্রত্যেক দেশের ১ হাজার ব্যক্তিকে একদিনের পাস দেয়া হতো। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সদস্যরা গত ২৯শে জুলাই সীমান্ত হাটে ভারতীয় কোনো ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেয়নি। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা কোনো মালামাল বিক্রি করতে পারেননি। অথচ বাংলাদেশি ক্রেতাদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। প্রত্যেক ব্যবসায়ী কমপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মালামাল বিক্রি করেন। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা গত ৫ই আগস্ট সীমান্ত হাটে দোকান না বসিয়ে হাটের বাইরে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এদিকে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গতকাল রোববার একদিনের পাস বন্ধ করে দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। এতে করে দুই দেশের বাৎসরিক কার্ড ছাড়া কাউকে হাটে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। বাংলাদেশে হাটের বাইরে শতশত ক্রেতা অপেক্ষা করলেও পাস না থাকায় হাটে যেতে পারেনি। বিজিবির হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে বাৎসরিক কার্ড নিয়েছে মাত্র ৩৯ জন এবং ভারতীয় বিএসএফের হিসেব অনুযায়ী ৩০ জন ক্রেতা হাটে কেনাকাটা করতে প্রবেশ করেছেন। এতে করে ব্যবসায়ীরা মালামাল বিক্রি করতে পারেননি। মালামাল ফেরত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status