বাংলারজমিন
কোম্পানীগঞ্জে ফের সক্রিয় পাথরখেকো সিন্ডিকেট
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
১৩ আগস্ট ২০১৮, সোমবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের রেলওয়ের সংরক্ষিত এলাকায় অবাধে পাথর লুট চলছে। ক্ষমতাধর এক শ্রেণির পাথরখেকো সিন্ডিকেট ম্যানেজ করে চালাচ্ছে এ লুটপাট। বার বার প্রশাসন থেকে অভিযান চালালেও পাথরখেকো সিন্ডিকেটকে দমানো সম্ভব হচ্ছে না। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন- রাতের আঁধারে অতীতের ন্যায় আবারো বোমা মেশিন দিয়ে চলছে অবাধে পাথর লুট। পাথরখেকো চক্ররা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ধ্বংসের মুখে পড়েছে কালেরসাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা দেশের একমাত্র রজ্জুপথ ভোলাগঞ্জ রেলওয়ে রোপওয়ে বাঙ্কার। পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছে রোপওয়ে বাঙ্কারে অবস্থিত রেস্ট হাউজ, মসজিদ, ব্যারাক, মেশিনঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ৩ মাস থেকে এ এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বোমা মেশিন দ্বারা পাথর উত্তোলনের কাজ বন্ধ ছিল। তবে বর্তমানে আবারো একটি পাথর খেকোচক্র পাথর লুটপাটের মাধ্যমে রোপওয়ে বাঙ্কার ধ্বংসে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পেশী শক্তির বলে এই চক্র বহুল আলোচিত ভোলাগঞ্জ রোপওয়ের সংরক্ষিত এলাকায় বেআইনিভাবে অবৈধ ‘বোমা মেশিন’- এর মাধ্যমে সেখানকার কোটি কোটি টাকার পাথর সম্পদ লুটে নিচ্ছে। যার দরুন সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের তরফ থেকে সংরক্ষিত এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা। সেখানে বেশ কয়েকটি ভবন ও শত কোটি টাকার যন্ত্রপাতি বিদ্যমান আছে। তবে বড় অঙ্কের রফাদফার বিনিময়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের ছায়ায় পাথরখেকো চক্ররা পাথর লুটপাটে মেতে উঠেছে। রোপওয়ের সংরক্ষিত এলাকার অস্তিত্ব অচিরেই হারিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। পাশাপাশি আশপাশ এলাকা বাংলার জনপদ থেকে চিরতরে হারিয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ হচ্ছে বিপর্যস্ত। জনজীবন হচ্ছে বিপন্ন।