দেশ বিদেশ

সামান্য বিষয় নিয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবার বিভক্ত

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

১২ আগস্ট ২০১৮, রবিবার, ১০:৩৬ পূর্বাহ্ন

বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানো নিয়ে প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর পরিবারে চলছে লড়াই। তার কনিষ্ঠ ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ও তার সহযোগী কতিপয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে সংঘর্ষ তার বড় ভাই মাঈনুদ্দিন চৌধুরীর ছেলে বেলায়েত হোসেন রুবায়েতের। আর এতে মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন রুবায়েত। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নং নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। রুবায়েত চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগেরও সদস্য।
রুবায়েত বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর চশমাহিলে নিজেদের ভিটেভূমির সীমানায় ১১ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর বিষয়ে আপত্তি করায় অতর্কিতভাবে আমার ওপর হামলা করে সোলায়মান বাদশা নামের এক সন্ত্রাসী।

তার সঙ্গে ছিল চবি ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সমপাদক ফজলে রাব্বি সুজন, নগর ছাত্রলীগের সহ সমপাদক রাহুল দাশ, অনিক, মোর্শেদ, জাবেদ, হাসান খান ও রুবেল। চাচাত ভাই সালেহীন এবং পুলিশের উপস্থিতিতে আমার ওপর হামলা চালানো হলেও তারা কেউই এগিয়ে আসেনি। হামলায় আমার মাথা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের সৃষ্টি হয়। এরপর স্থানীয়রা আমাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পূর্বের কোনো বিরোধ ছিল কিনা জানতে চাইলে বেলায়েত হোসেন রুবায়েত বলেন, পূর্ব থেকে মহিউদ্দিন চাচার পরিবারের সঙ্গে ভিটেবাড়ি নিয়ে আমাদের কিছুটা বিরোধ ছিল। কিন্তু চাচার জীবদ্দশায় এ বিরোধের কথা কেউ শুনেনি। বর্তমানেও এ বিরোধ হামলা পর্যন্ত গড়ানোর মতো নয়। চাচা নেই সবে ৮ মাস হলো। আর এরমধ্যে চাচাতো ভাই সালেহীন সঙ্গীদের নিয়ে কেনই বা এই হামলা চালালো, আমার অপরাধই বা কী, আমি এখনো জানি না।

রুবায়েত বলেন, হামলার পর রাতে আমার চাচাতো ভাই, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সমপাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে আমাকে ফোন করেন। কিন্তু আমি বলেছি, কোনো সমাধান নয়, সুস্থ হয়ে আমি সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে মামলা করবো। হামলাকারীদের বিচার চাইবো। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নগরীর চশমাহিলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাড়ির কাছাকাছি বড়ভাই মাঈনুদ্দিন চৌধুরীর বাড়ি। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ভিটে-ভূমির সীমানায় বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোর কাজ শুরু করেন। মাঈনুদ্দিন চৌধুরীর সন্তান, চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সদস্য রুবায়েত হোসেন বেলায়েত এর প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে সালেহীনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় রুবায়েতের। পরে ছাত্রলীগের ছেলেরা সালেহীনের উপস্থিতিতে আক্রমণ চালায় রুবায়েতের ওপর। এতে মাথা ফেটে যায় রুবায়েতের। সন্ধ্যা ৬টার দিকে রুবায়েতকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, মাথায় আঘাতজনিত কারণে রুবায়েতের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাথি ও কিল-ঘুষির চিহ্ন রয়েছে। তবে চিকিৎসকের বরাতে রুবায়েতের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানান জহিরুল ইসলাম।

পাঁচলাইশ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ওয়ালিউদ্দিন আকবর বলেন, চশমাহিলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাড়ির কাছে গণ্ডগোলের খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ওই সময় ঘটনাস্থলে যায়। এরপর তারা কী করেছে, সেখানে কী হয়েছে আমি আর জানতে পারিনি। এ ব্যাপারে থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরার পর মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন রুবায়েত। প্রসঙ্গত, ফজলে রাব্বী সুজন চবি ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সমপাদক। মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত সে। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর থেকে তার সন্তান ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে কাজ করছেন সুজন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status