খেলা
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের শুভ সূচনা
স্পোর্টস ডেস্ক
১২ আগস্ট ২০১৮, রবিবার, ৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের নতুন মৌসুমের শুরুটা দারুণ হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ২০১৮-১৯ আসরের অভিষেক ম্যাচে লেস্টার সিটিকে হারায় কোচ হোসে মরিনহোর দল। শুক্রবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইউনাইটেডের ২-১ ব্যবধানের জয়ে একটি করে গোল করেন পল পগবা ও লুক শ’। শেষদিকে লেস্টার সিটির পক্ষে ব্যবধান কমান জেমি ভার্ডি। এ নিয়ে টানা চার মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের প্রথম ম্যাচে জয় পেলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এর আগে ২০০০-০১ থেকে ২০০৩-০৪ মৌসুমের প্রথম ম্যাচে জয় পায় রেডডেভিলরা। আর লেস্টার সিটির বিপক্ষে শেষ ৯ ম্যাচের আটটিতেই জয় পেলো ম্যানইউ। বাকি এক ম্যাচ ড্র। অন্যদিকে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মৌসুমের প্রথম খেলায় প্রতিপক্ষের মাঠে শেষ ১৬ ম্যাচে জয়হীন লেস্টার। সর্বশেষ ১৯৩৩-৩৪ মৌসুমের প্রথম ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলার মাঠে ৩-২ গোলে জয় পায় তারা। শুক্রবার ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে বিশ্বকাপ জয়ী ফরাসি মিডফিল্ডার পল পগবার পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। অ্যালেক্সিস সানচেজের শট ডি-বক্সে লেস্টার ডিফেন্ডার ড্যানিয়েল অ্যামার্টির হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ২৮তম মিনিটে সমতায়ও ফিরতে পারতো লেস্টার। কিন্তু গত জুনে দলটিতে যোগ দেয়া ইংলিশ মিডফিল্ডার জেমস ম্যাডিসনের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন ম্যানইউর গোলরক্ষক ডেভিড ডি গেয়া। ৭৭তম মিনিটে লেস্টারের ডেনিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেলকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন বদলি নামা রমেলু লুকাকু। ৮৩তম মিনিটে হুয়ান মাতার পাসে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করার পাশাপাশি জয়টাও নিশ্চিত করেন লুক শ’। প্রিমিয়ার লীগের ক্যারিয়ারে ২৩ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের এটি প্রথম গোল। পরে ম্যাচের যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ডিফেন্ডার রিকার্দো পেরেইরার ক্রস পোস্টে লাগার পর ফিরতি বল পেয়ে কাছ থেকে হেডে জালে জড়ান ইংলিশ স্ট্রাইকার জেমি ভার্ডি। এ ম্যাচে ম্যনইউর জার্সি গায়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে অভিষেক হয় ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্রেডের। প্রিমিয়ার লীগে সর্বশেষ ২০১২-১৩ মৌসুমে শিরোপা জেতে সর্বাধিক ২০ বারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানইউ। আর ২০১৫-১৬ মৌসুমে প্রথমবারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা জেতে লেস্টার। গত মৌসুমে লেস্টারকে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারানোর পর অ্যাওয়ে ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করে রেড ডেভিলরা। এর আগে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে লেস্টারের বিপক্ষে ৬৪ ম্যাচে জয় পায় ম্যানইউ। ৩৩ ম্যাচে জয় দেখে লেস্টার। মুখোমুখি লড়াইয়ে ২৯ ম্যাচে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু’দল।