এক্সক্লুসিভ

মালয়েশিয়া প্রবাসী গাজীর প্রতারণার ফাঁদ

স্টাফ রিপোর্টার

১২ আগস্ট ২০১৮, রবিবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন

ফরিদ উদ্দিন গাজী (বয়স ৩১ বছর) থাকেন মালয়েশিয়ায়। সেখানে কোনো বৈধ ব্যবসা বা চাকরি করেন না। অখ্যাত একটি কোম্পানি থেকে ভিসা লাগিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে প্রতারণা ও জালিয়াতির রমরমা ব্যবসা। অভিযোগ রয়েছে, গাজী মালয়েশিয়ায় একটি অপরাধ চক্র গড়ে তুলেছে। এই চক্রের কাজ হলো অবৈধ পথে মানবপাচার, মালয়েশিয়ায় জাল ভিসা তৈরি, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার ও মাদক ব্যবসা।

এছাড়াও মালয়েশিয়ায় নিরীহ বাংলাদেশি অবৈধ শ্রমিকদের বৈধকরণের নামে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তার এই প্রতারণা শুধু মালয়েশিয়ায় নয়, বাংলাদেশেও সে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশে তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন অনেকেই। এমনই একজন ভুক্তভোগী আবদুর রহীম। তার কাছ কয়েক ধাপে প্রায় ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে গাজী। এ ঘটনায় ভিকটিমের অফিসের মালিক গত ৩০শে জুলাই শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নম্বর- ১৭৪০। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছেন।
জানা গেছে, পলাশ চৌধুরী গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাক্টওয়েল টেকনোলজি বিডি লিমিটেডের সাইট ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রহিম। তিনি অভিযোগ করেন, মালয়েশিয়া  প্রবাসী ফরিদ উদ্দিন গাজী আমাকে ও আমার আত্মীয়কে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখায়। গাজী আমাদের কোম্পানির গাড়িচালক ইব্রাহিমের পূর্ব-পরিচিত এবং তাদের বাড়ি একই জেলায় হওয়ার কারণে তাকে আমি বিশ্বাস করি। আমি এবং আমার আত্মীয়কে মালয়েশিয়া যাওয়া বাবদ তার কাছে ৭ লাখ টাকা চুক্তি করি। চুক্তি বাবদ ফরিদ গাজীর বাবা ওয়াহাব গাজীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইসলামী ব্যাংক চাঁদপুর শাখায় ২১৯৫৪ অ্যাকাউন্ট নম্বরে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জমা করি। পরে ফরিদ গাজী বাংলাদেশে আসেন। তাকে আমি আমার অফিস বাংলামোটরে আর ৪ লাখ টাকা প্রদান করি। দীর্ঘদিন হওয়ার পর গাজী আমাদের দুইজনকে মালয়েশিয়ায় নিতে ব্যর্থ হন।

এরপর তার কাছে পাওনা টাকা চাইলে সে নানারকম তালবাহনা শুরু করে। একপর্যায়ে বিষয়টি আমার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জায়েদুল করীম চৌধুরীকে বিষয়টি জানায়। তিনিও তাকে মালয়েশিয়ায় ফোন দিয়ে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য বলেন। টাকাতো দূরের কথা উল্টো গত ১৭ই জুলাই ফরিদ গাজী জায়েদুল ইসলাম চৌধুরীর ব্যক্তিগত হোয়াটস্‌ অ্যাপে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হত্যার হুমকি দেয়। কিন্তু কোনো ফল না পাওয়ায় আমি গত ১লা আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুরক্ষা সেবা বিভাগে একটি দরখাস্ত দেই। সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব একেএম মুখলেসুর রহমান অতিরিক্ত মহা-পুলিশ পরিদর্শক স্পেশাল ব্রাঞ্চকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেন। এর আগে গত ৩০শে জুলাই এ ঘটনায় আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় একটি জিডি (সাধারণ ডাইরি) করা হয়। এ বিষয়ে পলাশ চৌধুরী গ্রুপ অব কোম্পানিজ লি: এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জায়েদুল করীম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি সত্য ও দুঃখজনক। ফরিদ উদ্দিন গাজী আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। আমিও ব্যবসায়িক কাজে মালয়েশিয়ায় যাতায়াত করে থাকি। ওই বিষয়টি আমি মালয়েশিয়া সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি অবহিত করেছি।
বিষয়টি জানতে চাইলে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান মানবজমিনকে জানান, জিডি’র বিষয়টি পুলিশ আমলে নিয়েছে। সেটি তদন্ত করা হচ্ছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status