বাংলারজমিন
শেখেরহাট উচ্চবিদ্যালয়ে নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্ব, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
১২ আগস্ট ২০১৮, রবিবার, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
বদরগঞ্জের গোপালপুর শেখের হাট উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী শূন্যপদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। এনিয়ে গতকাল শিক্ষার্থীরা ক্লাস ছেড়ে বিদ্যালয়ের সামনে সভাপতির শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, সভাপতি বিদ্যালয়ে আসেন না। তিনি অন্যায়ভাবে ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর জুলাই মাসের বেতন বন্ধ করেছেন।
তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি বেতন বন্ধ করেনি। প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা আমার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে দিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘চলতি বছরের ২রা মে অফিস সহকারী পদ শূন্য হয়েছে। ওই পদে নিয়োগ দিতে কাগজপত্র প্রসেস করবেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু তিনি আমার সময়ে প্রসেস করছেন না। কারণ ওই পদে তার (প্রধান শিক্ষকের) মনোনীত ব্যক্তি রয়েছেন। আমি হয়তো সেটাকে সমর্থন করবো না এই ভয়ে আছেন তিনি। সভাপতি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমি দেড় বছর আগে সভাপতি হিসেবে আসার পর দেখতে পাই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি, ফসলি জমি লিজ, টিআর প্রকল্পসহ বিভিন্ন খাতে ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ওই ঘটনায় ইউএনও’র নির্দেশে শিক্ষা অফিস তদন্ত করে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। প্রধান শিক্ষক মকসুদার রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে দেইনি। আমাদের বেতন বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা ছিল। সভাপতি ব্যস্ত থাকায় ওইদিন বেতন তুলতে পারিনি।’ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন আমি এবিষয়ে বুঝে উঠতে পারছি না।’ তবে অফিস সহকারী নিয়োগের বিষয়ে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হাত দিতে পারছি না।’
এলাকার দুইজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ‘বিদ্যালয়ে শূন্যপদ একটি। কিন্তু শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির লোকজন প্রায় ১০ জনের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলে এলাহী বলেন, ‘চলতি বেতনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করার কথা নয়। শিক্ষার্থীদের মাঠে নামানোর পেছনে হয়তো কারও হাত থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্তে করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি বেতন বন্ধ করেনি। প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা আমার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে দিয়ে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘চলতি বছরের ২রা মে অফিস সহকারী পদ শূন্য হয়েছে। ওই পদে নিয়োগ দিতে কাগজপত্র প্রসেস করবেন প্রধান শিক্ষক। কিন্তু তিনি আমার সময়ে প্রসেস করছেন না। কারণ ওই পদে তার (প্রধান শিক্ষকের) মনোনীত ব্যক্তি রয়েছেন। আমি হয়তো সেটাকে সমর্থন করবো না এই ভয়ে আছেন তিনি। সভাপতি আরো অভিযোগ করে বলেন, আমি দেড় বছর আগে সভাপতি হিসেবে আসার পর দেখতে পাই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি, ফসলি জমি লিজ, টিআর প্রকল্পসহ বিভিন্ন খাতে ৯ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ওই ঘটনায় ইউএনও’র নির্দেশে শিক্ষা অফিস তদন্ত করে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে। প্রধান শিক্ষক মকসুদার রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের উস্কিয়ে দেইনি। আমাদের বেতন বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা ছিল। সভাপতি ব্যস্ত থাকায় ওইদিন বেতন তুলতে পারিনি।’ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন আমি এবিষয়ে বুঝে উঠতে পারছি না।’ তবে অফিস সহকারী নিয়োগের বিষয়ে তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হাত দিতে পারছি না।’
এলাকার দুইজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, ‘বিদ্যালয়ে শূন্যপদ একটি। কিন্তু শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির লোকজন প্রায় ১০ জনের কাছ থেকে চাকরি দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজলে এলাহী বলেন, ‘চলতি বেতনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করার কথা নয়। শিক্ষার্থীদের মাঠে নামানোর পেছনে হয়তো কারও হাত থাকতে পারে। বিষয়টি তদন্তে করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’