দেশ বিদেশ
১০ লাখ মুসলিমকে বন্দি করে রেখেছে চীন
মানবজমিন ডেস্ক
১২ আগস্ট ২০১৮, রবিবার, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল জিনজিয়াংয়ে দশ লাখেরও বেশি মুসলিমকে আটকে রাখা হয়েছে। এদের সবাই সংখ্যালঘু উইঘুর জাতিগোষ্ঠীর সদস্য। এমনটি জানিয়েছেন জাতিসংঘের বৈষম্য-নিরোধ কমিটির ভাইস-চেয়ারপারসন গে ম্যাকডোগাল। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দেয়া প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি এ দাবি করেছেন। বিবিসির খবরে বলা হয়, শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের জাতিগত বৈষম্য নিরোধ বিষয়ক কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে চীনের বৈষম্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। কমিটির ভাইস-চেয়ারপারসন গে ম্যাকডোগাল চীনে উইঘুরদের ওপর নির্যাতন চালানোর প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, উইঘুর মুসলিমদের স্বায়ত্তশাসিত বিশাল এলাকাকে চীন বন্দিশিবিরে পরিণত করেছে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা এ খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে এই অভিযোগের বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি চীন। এর আগেও দেশটির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু বরাবরই তারা অস্বীকার করে আসছে। জাতিসংঘকে দেয়া প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে, জিনজিয়াংয়ে গণহারে উইঘুরদের বন্দি করা হচ্ছে। সেখানে বন্দিদের ওপর বল প্রয়োগ করে কেন্দ্র সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশে বাধ্য করা হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেস বলছে, সেখানে উইঘুরদের কোনো অভিযোগ ছাড়াই বন্দি করা হচ্ছে। তাদেরকে কম্যুনিস্ট পার্টির দলীয় স্লোগান দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি ঠিকমতো খাবারও দেয়া হয় না। প্রসঙ্গত, উইঘুর মূলত ইসলাম ধর্মাবলম্বী সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী। এরা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশের অধিবাসী। সেখানকার মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশই এই জাতিগোষ্ঠীর সদস্য। এই অঞ্চলটিতে চীনের কেন্দ্র সরকারের সরাসরি কর্তৃত্ব নেই। তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রদেশটির নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্র সরকার।