বাংলারজমিন
তজুমদ্দিনে ৩ ভূমি অফিস নিজেই ভূমিহীন
তজুমদ্দিন (ভোলা) সংবাদদাতা
১২ আগস্ট ২০১৮, রবিবার, ৮:২৬ পূর্বাহ্ন
ভোলার তজুমদ্দিনে মেঘনার ভাঙনের কবলে পড়ে ১৭ বছর আগে তিনটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সোনাপুর ও মলংচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরতরা আশ্রয় নেন চাঁদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে আর চাচড়া ইউনিয়নে কর্মরতরা আশ্রয় নেন চাচড়া ইউনিয়ন পরিষদে। একটানা ১৭ বছর তিনটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নিজস্ব কার্যালয় না থাকায় ভূমি অফিস তিনটি নিজেরাই ভূমিহীন হয়ে পড়েছেন।
এদিকে চাঁদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের একমাত্র টিনশেড ঘরের চালা ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে উড়িয়ে নেওয়ায় বর্তমানে তিনটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ফাইলপত্র নষ্ট হয়ে কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে তিন ইউনিয়নের কয়েক লাখ একর জমি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দুশ্চিন্তায় পড়েছে জমির মালিকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোনাপুর, বড়মলংচড়া ও চাচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস তিনটির কার্যালয় ২০০১ সালের দিকে মেঘনা নদীর প্রবল ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সেই থেকে উপজেলা সদরে চাঁদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জায়গায় একটি টিনশেড ওয়ালের ঘরে কোনোমতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল চাঁদপুর, সোনাপুর ও মলংচড়াসহ ৩টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম। আর ওই সময় চাচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরতরা আশ্রয় নেন চাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে। একটানা ১৭ বছর চাঁদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের টিনশেড ঘরে ভূমিহীন হয়ে অফিস করছেন সোনাপুর ও মলংচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরতরা। এরই মধ্যে মরার ওপর খরার ঘা হয়ে ২০১৬ সালের ২০শে গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে টর্নেডো উড়িয়ে নেয় ওই টিনশেডের ঘরের ছাউনি। এই অফিসগুলোতে আর সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি।
সূত্রে আরো জানাগেছে, ঘরের একাংশ চাদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরতরা নিজ খরচে মেরামত করে কোনোমতে অফিস করলেও বাকি অংশ রয়ে যায় ব্যবহার অযোগ্য। ফলে সোনাপুর ও মলংচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের গুরুত্বপূর্ন ফাইল ও কাগজপত্র রোদ বৃষ্টিতে অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে উপজেলা ভূমি অফিসের বারান্দায় টেবিল বসিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে চাঁদপুর ও সোনাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরতদের। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তারা জানান, অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জরুরি ফাইলগুলো নিজস্ব হেফাজতে রাখা হয়েছে। পড়ে থাকা ফাইল ও কাগজপত্র কম গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় জায়গা স্বল্পতার কারণেই সরানো যায়নি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জালাল উদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের ভবন নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মেরামতের চাহিদা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, বরাদ্দ পেলে সংস্কার কাজ করা হবে।
এদিকে চাঁদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের একমাত্র টিনশেড ঘরের চালা ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে উড়িয়ে নেওয়ায় বর্তমানে তিনটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ফাইলপত্র নষ্ট হয়ে কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ফলে তিন ইউনিয়নের কয়েক লাখ একর জমি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দুশ্চিন্তায় পড়েছে জমির মালিকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোনাপুর, বড়মলংচড়া ও চাচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস তিনটির কার্যালয় ২০০১ সালের দিকে মেঘনা নদীর প্রবল ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। সেই থেকে উপজেলা সদরে চাঁদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জায়গায় একটি টিনশেড ওয়ালের ঘরে কোনোমতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল চাঁদপুর, সোনাপুর ও মলংচড়াসহ ৩টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রম। আর ওই সময় চাচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরতরা আশ্রয় নেন চাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে। একটানা ১৭ বছর চাঁদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের টিনশেড ঘরে ভূমিহীন হয়ে অফিস করছেন সোনাপুর ও মলংচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরতরা। এরই মধ্যে মরার ওপর খরার ঘা হয়ে ২০১৬ সালের ২০শে গভীর রাতে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে টর্নেডো উড়িয়ে নেয় ওই টিনশেডের ঘরের ছাউনি। এই অফিসগুলোতে আর সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি।
সূত্রে আরো জানাগেছে, ঘরের একাংশ চাদপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরতরা নিজ খরচে মেরামত করে কোনোমতে অফিস করলেও বাকি অংশ রয়ে যায় ব্যবহার অযোগ্য। ফলে সোনাপুর ও মলংচড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের গুরুত্বপূর্ন ফাইল ও কাগজপত্র রোদ বৃষ্টিতে অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে উপজেলা ভূমি অফিসের বারান্দায় টেবিল বসিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে চাঁদপুর ও সোনাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরতদের। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তারা জানান, অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জরুরি ফাইলগুলো নিজস্ব হেফাজতে রাখা হয়েছে। পড়ে থাকা ফাইল ও কাগজপত্র কম গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় জায়গা স্বল্পতার কারণেই সরানো যায়নি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জালাল উদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের ভবন নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মেরামতের চাহিদা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, বরাদ্দ পেলে সংস্কার কাজ করা হবে।