বাংলারজমিন
ময়মনসিংহে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অনিয়ম কমায় আয় বাড়ছে
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে
১২ আগস্ট ২০১৮, রবিবার, ৮:১৪ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে অনিয়ম, দুর্নীতির বদনাম ঘুচিয়ে আস্থার জায়গায় ফিরে আসতে শুরু করেছে। ফলে গত ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে রাজস্ব আয় বেড়েছে ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা। চলতি বছরে রাজস্ব আদায় আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ হওয়ায় কারণে রাজস্ব আয় বেড়েছে। এক সময় অনিয়ম, দুর্নীতি থাকলেও এখন আর সেই অবস্থা নেই। দলিল লেখক সমিতির নেতাকর্মীরা বলেছেন, বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার শাহ নেওয়াজ আসার পর থেকেই অবস্থার আমূল পরিবর্তন এসেছে। আগের তুলনায় বেড়েছে রাজস্ব আদায়। অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১১৫ কোটি ১২ লাখ ৪ হাজার ২৮৫ টাকা। ২০১৭ সালে রাজস্ব আদায় বেড়ে হয়েছে ১২৬ কোটি ২২ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৬ টাকা। এতে ২০১৭ সালে ১১ কোটি ১০ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
ময়মনসিংহ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ঘুরে কথা হয় দলিল করতে আসা আবদুল সালাম এবং ইদ্রিস মিয়ার সঙ্গে। তারা বলেন, এক সময় ময়মনসিংহ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস মানেই ছিল ঘুষের কারখানা। মানুষ এখানে এসে বিপদে পড়তে হতো। দীর্ঘদিন পরে হলেও বর্তমান সময়ে সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এখন মানুষ এসে হয়রানির শিকার হয় না। আমরাও দলিল করেছি সরকারি নির্ধারিত ফিতে। অতিরিক্ত কোনো ফি কাউকে দিতে হয়নি।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু হানিফা এবং সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান বলেন, বিগত সময়ের তুলনায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের। সাধারণ মানুষ সরকারি নির্ধারিত ফি’তেই দলিল করতে পারছে। নেই কোনো দালালদের তৎপরতাও। দলিল লেখক সমিতি ও সাব রেজিস্ট্রার স্যারের সমন্বয়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিসকে মডেল অফিস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। প্রতিদিন এখানে প্রায় দেড়শ দলিল হচ্ছে। কাচারি, মসজিদ, মাদরাসা, দলিল লেখক সমিতির সদস্যদের কল্যাণ ও পরিচালনার জন্য কিছু টাকা চাঁদা নেয়া হয়। কাউকে জুলুম করা হয় না। এ ছাড়া বাড়তি কোনো টাকা আদায় করা হয় না। সাধারণ মানুষ কাউকে কোনো ঘুষ দেয়া ছাড়াই দলিলের কাজ সম্পন্ন করছে। সাব রেজিস্ট্রার শাহ্ নাওয়াজ বলেন, সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল করতে আসা সাধারণ মানুষ যেন কোনোভাবেই হয়রানির স্বীকার না হয় সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। সার্বক্ষণিক এ বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। কোনো অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমি মনে করি অতীতের তুলনায় অফিসের কার্যক্রমের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ছে সরকারের রাজস্ব আয়।
ময়মনসিংহ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ঘুরে কথা হয় দলিল করতে আসা আবদুল সালাম এবং ইদ্রিস মিয়ার সঙ্গে। তারা বলেন, এক সময় ময়মনসিংহ সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিস মানেই ছিল ঘুষের কারখানা। মানুষ এখানে এসে বিপদে পড়তে হতো। দীর্ঘদিন পরে হলেও বর্তমান সময়ে সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এখন মানুষ এসে হয়রানির শিকার হয় না। আমরাও দলিল করেছি সরকারি নির্ধারিত ফিতে। অতিরিক্ত কোনো ফি কাউকে দিতে হয়নি।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আবু হানিফা এবং সিনিয়র সহসভাপতি শাহজাহান বলেন, বিগত সময়ের তুলনায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের। সাধারণ মানুষ সরকারি নির্ধারিত ফি’তেই দলিল করতে পারছে। নেই কোনো দালালদের তৎপরতাও। দলিল লেখক সমিতি ও সাব রেজিস্ট্রার স্যারের সমন্বয়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিসকে মডেল অফিস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। প্রতিদিন এখানে প্রায় দেড়শ দলিল হচ্ছে। কাচারি, মসজিদ, মাদরাসা, দলিল লেখক সমিতির সদস্যদের কল্যাণ ও পরিচালনার জন্য কিছু টাকা চাঁদা নেয়া হয়। কাউকে জুলুম করা হয় না। এ ছাড়া বাড়তি কোনো টাকা আদায় করা হয় না। সাধারণ মানুষ কাউকে কোনো ঘুষ দেয়া ছাড়াই দলিলের কাজ সম্পন্ন করছে। সাব রেজিস্ট্রার শাহ্ নাওয়াজ বলেন, সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল করতে আসা সাধারণ মানুষ যেন কোনোভাবেই হয়রানির স্বীকার না হয় সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। সার্বক্ষণিক এ বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। কোনো অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমি মনে করি অতীতের তুলনায় অফিসের কার্যক্রমের আমূল পরিবর্তন হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ছে সরকারের রাজস্ব আয়।