অনলাইন

বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ২০ থেকে ২৫ টি ট্রলার

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৮:০৩ পূর্বাহ্ন

সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসারে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে নিখোঁজ শরণখোলাসহ উপকুলীয় এলাকার ১০/১২টি ট্রলার ফিরে এলেও এখনো ২০/২৫টির কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এছাড়া সাগরের পানিতে তলিয়ে যাওয়া এফবি তারেক ট্রলারের জেলে আমির হোসেনের হদিস এখনো মেলেনি। এদিকে, সাগরে আরো ২টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যাবার খবর পাওয়া গেছে। ওই ট্রলারের ৯ জেলে পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে উদ্বেগ বেড়েই চলছে।

বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক দুলাল মাস্টার জানান, গতকাল শনিবার সাগরে নিখোঁজ ৩৫টি ট্রলারে মধ্যে ১০/১২টি ফিরে এসেছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ২৫টি ট্রলার। তাদের স্বজনরা সকাল থেকে মৎস্য ঘাটে এসে ভীড় করছে। কোন ট্রলার ফিরে এলেই সেখানে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে স্বজনদের পাবার আশায়। একইদিনে ফেয়ারবয়া এলাকায় পানিতে ডুবে যাওয়া এফবি তারেক ট্রলারে জেলে আমির হোসেনের কোন সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।

দুলাল মাস্টার আরো জানান, গতকাল শনিবার সকালে আরো ২টি ফিশিং ট্রলার ডুবে যাওয়ার খবর তিনি জানিয়েছেন। ট্রলার দু’টির ৩৫ জেলের মধ্যে ৯ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এ দুুটি ট্রলার হচ্ছে বরগুনার গুলিশাখালী এলাকার কামাল দফাদারের মালিকানাধীন এফবি ভাই ভাই ও বরগুনা সদরের আশুতোষ বাবুর এফবি অর্ক।

শরণখোলার রাজৈর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী কবির আড়ৎদার জানান, তার মালিকানাধীন এফবি খাইরুল ইসলাম ও একই গ্রামের কামাল মিয়ার এফবি আল্লা মালিক ফিশিং ট্রলারের কোন সন্ধান তারা পাচ্ছেন না।

কোস্টগার্ডের মঙলা জোনের অপারেশন কামান্ডার লেফটেনেন্ট আব্দুল্লাহ্ আল মাহদুদ জানান, খবর পেয়ে তাদের জাহাজ সিজিএস মুনসুর আলী ও সিজিএস তানজিরা সাগরে খোজ-খবর টহলে রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর তিনটি জাহাজ রয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status