অনলাইন

হামলার আগে ফেসবুক লাইভে যা বললেন মাহমুদুর রহমান

স্টাফ রিপোর্টার

২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

ছাত্রলীগের হামলার আগে অবরুদ্ধ অবস্থায় কুষ্টিয়া আদালত ভবনে এক ফেসবুক লাইভে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, পুরো আদালত পাড়া জুড়ে ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা মহড়া দিচ্ছে। তাদের দাবি কি সেটাও বুঝা যাচ্ছে না। একটাই বুঝছি তারা আমাকে এখান থেকে বের হতে দিতে রাজিনা। মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি এই অভিজ্ঞতায় আশ্চর্য হইনি। বাংলাদেশে গণমানুষের কোনো অধিকার নেই, সংবাদপত্রের কোনো স্বাধীনতা নেই। সেটার সর্বোৎকৃষ্ট প্রমাণ আমরা আজ কুষ্টিয়াতে পেলাম। এরকম দৃশ্য মনে হয় কুষ্টিয়াতে আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি। কারণ এখানে আমাদের যে আইনজীবী আছেন তারা প্রত্যেকেই বললেন, এটা তাদের জন্য একটা নতুন অভিজ্ঞতা। আমি এখানে এসেছিলাম একটা মানহানি মামলায় হাজিরা দিতে। আপনারা জানেন যে, মানহানি মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবকে জামিন দিতে হয়। এটাই আইন। এই আইন ভেঙে আমার জামিন বাতিল করার কোনো সুযোগ নেই। তাই ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব আমাকে জামিন দিয়েছেন। কিন্তু জামিন দেয়ার পর থেকে তারা আমাকে বের হতে দিচ্ছেনা। এর পেছনের সকল ইন্ধন হচ্ছে এখানকার ওসি এবং এসপির। তাদের ইন্ধনে এই কাজ হচ্ছে। কারণ ওসি-এসপি তারা দেখেও না দেখার ভান করছে। এমনকি আমাদের সামনে ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব ওসিকে ডাকলেন। ওসি সামান্য সৌজন্য দেখিয়েও আসেনননি। বরং তিনি বলে দিলেন, আসতে পারবেন না। বাংলাদেশ আজ কোন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আপনারা বুঝতে পারছেন এই দেশের জনগণ যদি লড়াই করে সরকারকে প্রতিহত না করে, তাহলে মানুষের মুক্তি আসবেনা। আপনার জানেন আমি পাঁচ বছর জেলে ছিলাম। আমার নামে ১২৫টি মামলা। আমি ৩৮দিন পুলিশের রিমান্ডে ছিলাম। সেই রিমান্ডে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আল্লাহ আমার হায়াত এখনও রেখেছেন তাই আমি বেঁচে আছি। ততদিন ন্যায়ের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আমি লড়াই করে যাব।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status