বিশ্বজমিন
ভারতে স্যানিটারি পণ্যে ১২ ভাগ ট্যাক্স বাতিল
মানবজমিন ডেস্ক
২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৩:০২ পূর্বাহ্ন
তীব্র বিক্ষোভের পর সব ধরনের স্যানিটারি পণ্যের ওপর থেকে শতকরা ১২ ভাগ ট্যাক্স বাতিল করেছে ভারত সরকার। এ নিয়ে কয়েক মাস ধরে অধিকারকর্মীরা রাজপথে বিক্ষোভ করছিলেন। এক বছর আগে সরকার এসব পণ্যের ওপর ভারত সরকার ‘গভর্নমেন্ট ইনট্রোডিউসড দ্য ট্যাক্স’ (জিএসটি) আরোপের ঘোষণা দেয়। বিশেষ করে নারীদের ঋতু¯্রাবের সময় যেসব স্যানিটারি পণ্য ব্যবহৃত হয় তাও এর আওতায় আসে। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন অধিকারকর্মীরা। তারা যুক্তি তুলে ধরে বলেন, সরকারের এমন নীতির ফলে নারীরা আরো বেশি অস্বস্তিতে পড়বেন। এমনিতেই প্রতি পাঁচজন নারীর ও যুবতীর মধ্যে গড়ে চার জনের স্যানিটারি প্যাড পাওয়ার সামর্থ নেই। এ অবস্থায় এর দাম বৃদ্ধি করলে নারীরা পড়বেন বিপদে। সেটা হতে পারে যৌন সংক্রমণ সহ বিভিন্ন রকম উপসর্গ। বিক্ষোভের মুখে সরকারের বোধোদয় হয়েছে। ঋতু¯্রাব বিষয়ক সচেতনতামুলক দাতব্য সংস্থা সাচ্চি সাহেলি’র প্রতিষ্ঠাতা সুরভি সিং বলেছেন, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ছিল খুবই প্রতিক্ষীত ও প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে যেসব মেয়ে স্কুলে যায়, নারীরা কাজে যান। এসব পণ্য ছাড়া তাদের জন্য ঘর থেকে বের হওয়া খুবই অস্বস্তিকর। সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে তারা স্বস্তিতে কাজে যেতে, স্কুল কলেজে যেতে পারবেন। উল্লেখ্য, ভারতে যেসব কারণে মেয়েরা স্কুল থেকে ঝরে পড়ে তার শীর্ষ স্থানীয় কতগুলো কারণের অন্যতম হলো ঋতু¯্রাব। অন্যদিকে অনেক নারী আছেন যাদেরকে এ সময়ে বাধ্য হয়ে ঘরে বসে থাকতে হয়। কারণ তারা স্যানিটারি এসব পণ্য তাদের সাধ্যের মধ্যে পান না। আবার কোনো কোনো নারী কাপড় বা ন্যাকড়া ব্যবহার করেন। এসব জিনিস পরিষ্কার থাকে না। ফলে নারীদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিটা বেড়ে যায়। তাই সরকার যখন স্যানিটারি পণ্যের ওপর শতকরা ১২ ভাগ ট্যাক্স আরোপ করে তাৎক্ষণিকভাবে তা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। আবেদন করা হয়। একটি আবেদনে চার লাখেরও বেশি মানুষ স্বাক্ষর করেন। হিন্দিুতে একে আখ্যায়িত করা হয় ‘লহু কা লাগান’ বা ‘রক্তের ওপর ট্যাক্স’।