বাংলারজমিন

গাইবান্ধা জেলা পরিষদ

দুই মাসে ১২ লাখ টাকার অফিস আপ্যায়ন

সিদ্দিক আলম দয়াল, উত্তরাঞ্চল থেকে

২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৯:২৭ পূর্বাহ্ন

দুই মাসে আপ্যায়ন বিল দেখানো হয়েছে ১২ লাখ টাকা। আর এক মাসে মোকদ্দমা খরচ ৬ লাখ টাকা। কর্মকর্তা ক্ষমতা বলে নিজেই চিকিৎসা খরচ ও শিক্ষা অনুদান হিসেবে নিয়েছেন ৩ লাখ টাকা । জেলা পরিষদের এমন অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে দুদক ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
জেলা পরিষদের বাজেট ও খরচার কাগজপত্র অনুযায়ী কে কর্মকর্তা এবং কে কর্মচারী তা বোঝা কঠিন। কারণ কর্মচারীও অনুদান নিয়েছেন কর্মকর্তাও অনুদান গ্রহণ করেছেন। সরকারি নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে মাত্র ৩ মাসেই জেলা পরিষদের হিসাবরক্ষক শামীম মিয়া নিজ নামে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। এরমধ্যে মাত্র ২ মাসে আপ্যায়ন বাবদ ৩১ হাজার ২২০ টাকা, পরে আরও পালাক্রমে ২০ হাজার ৯৪০ টাকা, ১৯ হাজার ও ৫৮ হাজার টাকা। চার  দফায় তিনি একাই ২ মাসে আপ্যায়ন বাবদ ১২ লাখ ৮ হাজার ৯৬০ টাকা তুলে নিয়েছেন। এছাড়াও একই সময়ের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছেও ২০ হাজার, মনোহারী ক্রয় ৫৬ হাজার টাকা ও মামল-মোকদ্দমা বাবদ এক মাসে ৬ লাখ টাকা ও শিক্ষা অনুদান বাবদ ৫৫ হাজার টাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমানসহ একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লুটপাট হয়েছে এ টাকা। জেলা পরিষদের প্রমাণপত্র অনুযায়ী ২০১৭ সালে মাত্র ৬ মাসে কন্টিজেন্সি ও তাৎক্ষণিক ব্যয় দেখিয়ে হিসাবরক্ষক শামীম মিয়া প্রথমে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এরপর ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরে আবার দরিদ্র হিসাবে অনুদান ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। এতে করে শুধুমাত্র জেলা পরিষদের হিসাবরক্ষক শামীম মিয়া নিজেই ভুয়া ভাউচার দাখিল করেই ৬ মাসে ১৬ লাখ ৬৫ হাজার ২২ টাকা পকেটস্থ করেছেন। এর আগেও তিনি নিজের ছেলের নামে কাজের অগ্রিম দেখিয়ে ৬৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। পরে বেকায়দায় পড়ে ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে নিষ্কৃতি পান। অপরদিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্ববিবেচক তহবিল থেকে বিভিন্ন ভুয়া নামে ওই বছর ওই সময়ের মধ্যে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকার ভাগ-বাটেয়ারা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদের তৎকালীন নির্বাহী প্রধান মাহবুবুর রহমান কর্মকর্তা হয়েও নিজেকে ছাত্র দেখিয়ে ৩২ হাজার টাকা এবং নিজের ও পরিবারের চিকিৎসা অনুদান হিসাবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। সব মিলিয়ে জেলা পরিষদের কাগজপত্রে এসব লুটপাটের খবর ও প্রমাণপত্র ভাগাভাগির কাগজপত্র সাংবাদিকদের হাতে এসে পৌঁছেছে। এসব অভিযোগের কারণে দুদক বিষয়টি তদন্ত করছে।  এ ব্যাপারে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার বলেন, আপ্যায়নসহ বেশকিছু একাধিক বিল হিসাবরক্ষক তুলে নিয়েছেন। তা সঠিকভাবে খরচ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া সাবেক নির্বাহী প্রধান মাহবুবুর রহমান নিজে কেন অনুদানের টাকা গ্রহণ করলেন সে বিষয়টিও দেখা হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status