এক্সক্লুসিভ

দাম বেড়েছে পিয়াজ ও ডিমের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

২২ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৮:১৮ পূর্বাহ্ন

ঢাকার বাজারগুলোতে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পিয়াজ ও ডিমের দাম। এর মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে ডিমের দাম। আবার এলাকাভেদে দামের ভিন্নতাও লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমানে পাইকারি ও খুচরা উভয় বাজারে ডিমের দাম এক মাসের ব্যবধানে ডজনে (১২টি) বেড়েছে প্রায় ৪০ টাকা। এক মাস আগে ৭০ টাকার নিচে বিক্রি হওয়া ডিমের ডজন এখন ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এদিকে, পিয়াজের দামও গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা। এছাড়া চড়াদামে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম এখনো চড়াই রয়েছে। বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকার ওপরে। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এক মাস আগে ডিমের ডজন ছিল ৬৫-৭০ টাকা। এরপর থেকে ডিমের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। আর শেষ সপ্তাহে ডজনে ডিমের দাম বেড়েছে ৫-৭ টাকা। এতে এক ডজন ডিমের দাম বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়। খুচরা দোকানে ডিমের দাম আরো বেশি।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার তালিকা অনুযায়ী, বাজারে বর্তমানে এক হালি (৪টি) ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৮ থেকে ৩২ টাকায়। আর মাসের হিসাবে দাম বেড়েছে ৩৯.৫৮ শতাংশ।
ডিম ব্যবসায়ী আনিস মিয়া বলেন, কিছুদিন ডিমের ডজন ৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু ডিমের দাম এতটাই বেড়েছে যে, এক ডজন ডিম ৯৫ টাকার নিচে বিক্রি করার উপায় নেই। এদিকে, খুচরা পর্যায়ে মুদি দোকানে ডিমের দাম বেড়ে প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। আরেক বিক্রেতা বলেন, এখন আমাদের একপিস ডিম কিনতেই খরচ পড়ছে ৮ টাকা। সুতরাং ১০ টাকার নিচে একপিস ডিম বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে, ডিমের দাম বৃদ্ধির কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ বা ব্যাখ্যা দিতে পারেনি খুচরা ও পাইকারি ডিম বিক্রেতারা। কাওরান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা রাশেদুল ইসলাম জানান, ডিমের দাম কেন বাড়ছে তা জানি না। ডিম বেশি আসে গাজীপুর আর সাভার থেকে। দাম বৃদ্ধির ঘটনা সেখানেই ঘটছে।
রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচাবাজারে ২০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। গত সপ্তাহে ১৪০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেলেও শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলেন, আড়তে মরিচের সরবরাহ কম। তাই দামও চড়া। গত সপ্তাহে ১৪০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম একই রয়েছে। আর এক পোয়ার (২৫০ গ্রাম) হিসাবে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়।
এদিকে পিয়াজের দামও বেড়েছে। দেশি পিয়াজ কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫৫ টাকা কেজি। আর আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩০-৩৫ টাকায়।
টিসিবির তথ্য মতে, বাজারে বর্তমানে এক কেজি দেশি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায়। গত সপ্তাহে এই মানের পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। আর মাসের হিসাবে দাম বেড়েছে ১৭.৬৫ শতাংশ। আর আমদানি করা ভারতীয় পিয়াজের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পটোল, ঝিঙা, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, বেগুন, কাকরোল, ঢেড়স, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, করলাসহ প্রায় সব সবজিই বাজারে ভরপুর। ফলে দামও তুলনামূলক সস্তা। প্রায় সব সবজি আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। টমেটোর মতো দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে, চিচিঙ্গা, পটোল, ঝিঙা, ধুনদল, করলা, বরবটি। এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। পেঁপে আগের সপ্তাহের মতো ২০-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
কাওরান বাজারের ব্যবসায়ী আমির বলেন, এখন পটোল, ঢেড়সের ভরা মৌসুম। আর বৃষ্টি, বন্যা না থাকার কারণে সবজির কোনো ক্ষতি হয়নি। যে কারণে বাজারে এখন সব সবজির দাম যথেষ্ট কম। বন্যা না হলে সবজির দাম খুব একটা বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
বাজারে প্রতিকেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ১৪০০ টাকায় (আকারভেদে), রুই ২৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল মাছ ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ টাকা, পাঙাস ১৬০ টাকা, শিং ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, কৈ ২২০ টাকা, কৈ (দেশি) ৮০০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা, পাবদা ৭০০ টাকা, মলা ৪৫০ টাকা, ইলিশ (৯০০ গ্রাম) জোড়া ৩০০০ টাকা, ইলিশ (সোয়া কেজি) প্রতিপিস ২৫০০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি মুরগি (বয়লার) ১৮০ টাকা, লেয়ার ২৪০ টাকা, গরুর মাংস ৫২০ টাকা, খাসি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status