প্রথম পাতা

অবিরাম গণসংযোগ আরিফ-কামরানের

রোকনুজ্জামান পিয়াস ও ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে

২১ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

সকাল থেকে রাত বিরামহীন প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ও বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল জুমার দিনে দুই প্রার্থীই মসজিদে নামাজ শেষে প্রচারণা চালিয়েছেন। কুশল বিনিময় করেছেন মুসল্লিদের সঙ্গে। প্রচারণার সময় তারা দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। নগর নিয়ে ভোটারদের নিজের পরিকল্পনার কথা বলছেন কামরান। আরিফ বলছেন নির্বাচিত হলে বর্তমান ধারাতেই আধুনিক নগরীতে রূপান্তর করবেন সিলেটকে।

নৌকা হাতে দিয়ে বরণ করা হলো কামরানকে
আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল কাগজের তৈরি নৌকা। জুমার নামাজের পর মসজিদ থেকে বের হচ্ছিলেন কামরান। এমন সময় এগিয়ে গেলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। সঙ্গে মুসল্লিরা। তাদের হাতে মাঝারি আকৃতির কাগজের নৌকা। এই নৌকা হাতে তুলে দিয়ে গতকাল সিলেট আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী কামরানকে বরণ করে নিলেন কায়েস্থরাইল মুছারগাওবাসী। এ সময় কামরান তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন- পড়ন্ত বেলায় এসে নৌকা পেলাম। আর নৌকার দাওয়াত নিয়ে নগরবাসীর ঘরে ঘরে যাচ্ছি। সেখানেই যাচ্ছি সেখানেই মানুষের ভালোবাসায় আবদ্ধ হচ্ছি। এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক তার পরম পাওয়া। তখন বেলা ১২টা ৫৫ মিনিট। কায়েস্থরাইল জামে মসজিদের ইমাম সাপ্তাহিক ওয়াজ করছিলেন। মসজিদের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। তারা তাকিয়ে আছেন পথের দিকে। গোটা মসজিদই মানুষে ঠাসা। তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না মসজিদে। এমন সময় মসজিদের সামনে গাড়ি নিয়ে হাজির হন কামরান। নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসে তার সঙ্গে করমর্দন করেন। কামরানকে নিয়ে যান মসজিদের ভেতর। কামরানকে নিয়ে যাওয়া হয় মসজিদের ঠিক সামনে মিম্বরের কাছে। সেখানে আগে থেকেই জায়গা করে রাখা হয়েছিল। নামাজ আদায় করে কামরান উঠে যেতেই মুসল্লিরা মসজিদের ভেতরেই তার দিকে এগিয়ে যান। কেউ করমর্দন করেন, আবার কেউ কোলাকুলি করেন। প্রায় পাঁচ মিনিট মসজিদের ভেতরেই সময় কাটান কামরান। পরে সেখান থেকে মুসল্লি বেষ্টিত অবস্থায় চলে আসেন বাইরে। মসজিদের বারান্দা থেকে বের হতেই স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও মুসল্লিরা তার হাতে তুলে দেন কাগজের নৌকা। কামরানও হাত উঁচিয়ে সেই নৌকা গ্রহণ করেন। এ সময় পেছন থেকে ‘নৌকা-নৌকা’ বলে স্লোগানও দেয়া হয়। নৌকার স্লোগানে-স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা এলাকা। নৌকা হাতে নিয়ে কামরান গণসংযোগ শুরু করেন। হেঁটে হেঁটে তিনি মসজিদের আশপাশ এলাকায় নিজের হাতে নৌকার লিফলেট বিতরণ করেন। কামরানকে কাছে পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও খুশী। তারা দোকান থেকে বেরিয়ে কামরানের সঙ্গে হাত মেলান। প্রায় ১৫ মিনিট কামরান হাত মেলানো পর্ব শেষ করে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। এর আগে কামরান মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বলেন- এটা হয়তো সিলেট সিটিতে আমার জীবনের শেষ নির্বাচন। আমি জানি না আর কতদিন বেঁচে থাকতে পারবো। জীবনের শেষ সময়ে নগরবাসীর উন্নয়ন ও কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। তিনি বলেন, অতীতে আমাকে কারাগারে রেখে নগরবাসী একলাখ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করেছেন। আমি এ ভালোবাসার ঋণ শোধ করতে পারিনি। আগামী দিনে জীবন দিয়ে হলেও ঋণ শোধ করার চেষ্টা করবো। গণসংযোগকালে তার সঙ্গে ছিলেন ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীর উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, কায়েস্থরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ছালেক আহমদ, সাবেক সভাপতি আব্দুল আহাদ কুহিনূর, মূছারগাঁও সমাজকল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি শেখ হামিদুল্লাহ, স্থানীয় মুরব্বি মাসুক মিয়া, নুরুল আমীন, সমাজসেবী জিতু মিয়া, সৈয়দ আলাল আহমদ অভি, আওয়ামী লীগ নেতা জুনেদ আহমদ, নাছির উদ্দিন, আনসার উদ্দিন, চুনু মিয়া মিয়াসহ স্থানীয় মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।

নানা হলেন কামরান: ফের নানা হলেন মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। গতকাল সিলেটের ওয়েসিস হাসপাতালে তার মেয়ে ফাতেমা ইয়াসমীন আয়শার কোলজুড়ে জন্ম নিলো ফুটফুটে পুত্র সন্তান। সে খবর নির্বাচনী প্রচারণায় পেলেন কামরান। কিন্তু নাতির খবর পেলে নির্বাচনী প্রচারণার সিডিউল থাকায় তিনি তাৎক্ষণিক যেতে পারেননি। দরগাহ এলাকায় গণসংযোগ শেষ করে তিনি বাগবাড়িতে যান। সেখানে গণসংযোগের পর জুমার নামাজ আদায় করেন কায়েস্থরাইল মসজিদে। পরে কায়েস্থরাইল জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে তিনি নাতিকে দেখতে ছুটে যান ওয়েসিস হাসপাতালে। সেখানে তিনি নাতিকে কোলে নিয়ে আদর করেন। একই সঙ্গে মেয়ের খোঁজ খবর নেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থানের পর কামরান বাসায় চলে আসেন।
 
২০ দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ছুটছেন আরিফ
কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ হয়রানি করছে। নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করছে। তল্লাশি থেকে বাদ যাচ্ছে না তার নিজের গাড়িও। এসব কারণে নির্বাচনের সুন্দর পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। গতকাল নগরীর বিভিন্নস্থানে গণসংযোগকালে ভোট ও দোয়া চাওয়ার পাশাপাশি নানা অভিযোগ করছেন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। একইসঙ্গে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে নগরবাসীকে সজাগ থাকতে বললেন। ক্ষুব্ধ মেয়র প্রার্থী বললেন, তাদের এই অন্যায়-অত্যাচারের জবাব ব্যালটেই দেবে জনগণ।
গতকাল সকাল ১০টায় বাসা থেকে বের হয়ে একটি বেসরকারি চ্যানেলের টকশোতে অংশ নেন আরিফুল হক চৌধুরী। ওই অনুষ্ঠানে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান ছাড়াও আরো কয়েকজন মেয়রপ্রার্থী অংশ নেন। সেখান থেকে সোয়া ১২টার দিকে বেরিয়ে নেমে পড়েন গণসংযোগে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রথমেই দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দিতে গণসংযোগ এবং পথসভায় অংশ নেন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে বিএনপি, তার অঙ্গ সংগঠন এবং ২০দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এরপর তিনি সাড়ে ১২টার দিকে চলে যান সোবহানীঘাট এলাকায়। সুবহানীঘাটস্থ দারুস সুন্নাহ ইয়াকুবিয়া মাদরাসা সংলগ্ন কাজী নওয়াব আলী জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। তিনি ধানের শীষের বিজয়ের জন্য ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করেন। নামাজ শেষে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি তার জন্য অপেক্ষা করছিলো। আরিফ মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলেন। নামাজ শেষে তিনি বাইরে অপেক্ষমাণ মুসল্লিদের সঙ্গে আরেক দফা কুশল বিনিময় করে যথারীতি আবারো দোয়া চান।

এ সময় গণসংযোগে অংশ নেন দারুস সুন্নাহ ইয়াকুবিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল এবং আঞ্জুমানে আল ইসলাহের সভাপতি মাওলানা হুসাম উদ্দিন চৌধুরী। মাওলানা হুসাম উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, আরিফুল হক চৌধুরী নগরীর উন্নয়নে একনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। সিলেটকে একটি মেগা সিটি হিসেবে তৈরি করতে তিনি ঘামঝরা পরিশ্রম করেছেন। আশা করি, নগরবাসী আবারো তাকে নির্বাচিত করে নগরীর উন্নয়নের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের সেবা করার সুযোগ দেবেন। তারপর আরিফুল হক চৌধুরী আলেম- উলামাসহ সাধারণ মানুষের কাছে দোয়া প্রার্থনা করে বলেন, আপনাদের সকলের ভালোবাসা নিয়েই আমি মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলাম। কিন্তু সরকারের রোষানলে পড়ে বেশির ভাগ সময়ই কারাগারে কাটাতে হয়। যার জন্য নগরীর অনেক কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবুও যেটুকু সময় পেয়েছি, নগরীর একজন সেবক হিসেবে দায়িত্বকে আমানতদারীর সঙ্গে পালন করেছি। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত আপনাদের কাছে দৃশ্যমান। আপনাদের ভালোবাসা আমাকে আবারো বিজয়ের মুকুট পরাবে বলে আমার বিশ্বাস।  
মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে স্থানীয় মুসল্লি, নেতাকর্মী-সমর্থকদের বিশাল বহর সোবহানীঘাট রোড সংলগ্ন আল-হারমাইন হাসপাতালের সামনে হাজির হয়। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা করেন আরিফুল হক। তিনি ভোটারদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বিগত দিনে মেয়র থাকাকালীন নগরীর উন্নয়নে তারা নানা কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি দেন। তিনি বলেন, পাঁচবছর মেয়র থাকাকালে দীর্ঘ সময় জেলে কাটিয়েছিলাম। যেটুকু সময় পেয়েছি তাতে নগরীর উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন করেছি। তিনি বলেন, একসময় জলাবদ্ধতা ছিল নগরীর সবচেয়ে বড় দুর্ভোগ। আমি জলাবদ্ধতা দূর করেছি। বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা করেছি। এছাড়া আরো নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন সাবেক এই নগরপিতা। আবার মেয়র নির্বাচিত হলে সিলেট নগরীকে আরো উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী নগরী করে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন। বলেন, সিলেট শহর হবে সবচেয়ে অত্যাধুনিক ছিমছাম এক নগরী। নাগরিক চাহিদার সবটুকুই পূরণ করার চেষ্টা করবো। নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনাও করেন সদ্য সাবেক হওয়া মেয়র আরিফুল হক। তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ তোলেন। এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বাড়াবাড়ি করবেন না। বিরোধী দলের ক্ষমতার পরীক্ষা করবেন না। নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করবেন না। নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা অনুরোধ করছি। আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। পরে আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কাছেও তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, এটা তাদের অতি বাড়াবাড়ি। একটি সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশকে তারা নষ্ট করে দিচ্ছেন। আমরা স্পেসিফিক দু’জন পুলিশ কর্মকর্তার ব্যাপারে অভিযোগ করছি। এরমধ্যে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ। আমার গাড়ি পর্যন্ত্ত তল্লাশি করেছে। তল্লাশি করার রাইট তাদের আছে। কিন্তু প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিয়ে তল্লাশির অধিকার নাই। তিনি বলেন, যেখানে সুন্দরভাবে কাজ করছি, সেখানে অহেতুক ঝামেলা করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে তারা। তিনি বলেন, আমরা আজ দেখছি, আগামীকাল আমরা আমাদের ২০ দলীয় জোট তথা সিলেটের সুধীজনকে নিয়ে বসে চিন্তা-ভাবনা করবো। আমরা আমাদের নির্বাচনের মাঠ ছাড়বো না। তিনি আরো বলেন, এই সব প্রতিষ্ঠান যারা অতি উৎসাহী হয়ে আমাদের সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত থাকার কথা বলেছিলেন, সাংবাদিকদের এমন জিজ্ঞাসা প্রসঙ্গে বিএনপি প্রার্থী বলেন, এখনো আমি শঙ্কিত। তিনি বলেন, আমি শুনতে পারছি তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যদি এই ধরনের ভুয়া মামলা করেন, তবে নগরবাসী তার যথোপযুক্ত জবাব দেবেন। পথসভায় প্রতিদিনকার মতো অংশ নেন ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকীব, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেইন, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সিলেট জেলার সভাপতি এটিএম ফয়েজ উদ্দিন, সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, হাজী শেখ মকন মিয়া, মো. ইলিয়াস আলী, মাখন মিয়া, মুকুল মোর্শেদ, ইউনূস মিয়া, আবদুস সাত্তার মাসুম, জুমেল আহমদ। এরপর আরিফুল হক চৌধুরী বিকালে গোটাটিকর, বিসিক, শেখঘাট মসজিদের পশ্চিমে, মেডিকেল এবং কানিশাইল এলাকায় আয়োজিত কয়েকটি পথসভায় অংশগ্রহণ করেন। এ সময় বিএনপি এবং তার অঙ্গ সংগঠনসহ ২০দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন।  গণসংযোগকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আল ইসলাহ নেতা রকিবুল ইসলাম খান, ফয়জুল হক, দারুস সুন্নাহ ইয়াকুবিয়া মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আবু সালেহ কুতুবুল আলম, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহেদ আহমদ, হাফিজ সা’দ উদ্দিন প্রমুখ। গণসংযোগে উপস্থিত কয়েকজন বলেন, মেয়রপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই ধানের শীষের জয়ধ্বনি শুনে তার মনোবল আরো চাঙ্গা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণ বিএনপি নেতাকর্মী এবং ২০দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দের হৃদয়ে প্রতিনিয়তই আশার সঞ্চার করছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status