বাংলারজমিন
ওসমানীনগরে বাল্য বিয়ে পণ্ড
ওসমানীনগর (সিলেট) প্রতিনিধি
২১ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
সিলেটের ওসমানীনগরে মাদ্রাসা ও জন্ম সনদ জাল করে বাল্য বিবাহ দেয়ার সময় উপজেলা প্রশাসন পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উছমানপুর ইউপির চান্দরগাঁও গ্রামে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা, উপজেলার উছমানপুর ইউপির চান্দরগাঁও গ্রামের দুদু মিয়ার মেয়ে ও মাদার বাজার এফ ইউ সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ছাত্রী জনি বেগম (১৫) সাথে একই ইউপির ধনপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সিএনজি অটোরিকশা চালক রাকিব আলী(১৭) সাথে বিবাহ ঠিক করা হয়। কনের বয়স মাদ্রাসা ও জন্ম সনদ অনুযায়ী কম থাকায় জনির সাথে রাকিবের বিয়ের ব্যাপারটি অন্তরায় হয়ে উঠে। বিষয়টি জানতে পেরে টাকার বিনিময়ে জনি বেগমের মাদার বাজার এফ ইউ সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী নয়ন মিয়া জনির মাদ্রাসার রেজিস্টেশনে ও ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম সনদ জাল করে বয়স বাড়িয়ে দেয়। দুই পরিবারের মধ্যে সম্মতিতে ধুমধামের সাথে নববধূকে বরের হাতে তুলে দিতে গতকাল শুক্রবার সব প্রস্তুতি নিয়ে সম্পন্ন করে অপেক্ষা করতে থাকেন কনের পরিবার। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান, স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যান মইনুল আজাদ ফারুক ও ওসমানীনগর থানা পুলিশ অবগত হলে।
বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হবার খবর পেয়ে ইউএনও আনিছুর রহমানের নির্দেশে চেয়ারম্যান মইনুল আজাদা ফারুক, এসআই গৌতম সরকার স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল খালিক জনি বেগমের বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করে দেন। পরে বর ও কন সহ তাদের অভিভাবকদের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে ১৮ বছরের পূর্বে বিবাহ না দেয়ার শর্তে লিখিত মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।
বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হবার খবর পেয়ে ইউএনও আনিছুর রহমানের নির্দেশে চেয়ারম্যান মইনুল আজাদা ফারুক, এসআই গৌতম সরকার স্থানীয় ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল খালিক জনি বেগমের বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করে দেন। পরে বর ও কন সহ তাদের অভিভাবকদের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে ১৮ বছরের পূর্বে বিবাহ না দেয়ার শর্তে লিখিত মুচলেকা রেখে ছেড়ে দেয়া হয়।