বাংলারজমিন
পরশুরামে রাবার উৎপাদন শুরু
এমএ হাসান, পরশুরাম (ফেনী) থেকে
২১ জুলাই ২০১৮, শনিবার, ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
পরশুরামে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা রাবার বাগান থেকে দীর্ঘ ৮ বছর পর বাণিজ্যিকভাবে রাবার কষ উৎপাদন শুরু হয়েছে। ফেনী জেলার একমাত্র এ রাবার বাগানের গাছে গতকাল থেকে রাবার কষ সংগ্রহের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাটি’ বসানো হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জয়ন্তীনগর গ্রামে ২০১০ সালে হাজী মো. মোস্তফার মালিকানাধীন প্রায় ২৫ একর জায়গায় ৮ হাজার রাবার চারা রোপণ করা হয়। পরিকল্পিতভাবে লাগানো সারি সারি রাবার গাছের এ বাগান দীর্ঘ ৮ বছর পরিচর্যার পর ২ হাজার গাছে রাবার কষ সংগ্রহের জন্য বাটি বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব গাছেই ‘কষ’ সংগ্রহের জন্য বাটি বসানো হবে। সাধারণত রাবার গাছ রোপণের পর ৬ বছর পর্যন্ত পরিচর্যা করলে ৭ বছর থেকেই রাবার কষ উৎপাদন শুরু হয়। রাবার গাছ উৎপাদন উপযোগী হওয়ার পর থেকে ২৮ বছর পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে রাবার ‘কষ’ দিয়ে থাকে। রাবার গাছের বয়স ৩৫ বছর হলে এর অর্থনৈতিক জীবনচক্র হারিয়ে যায়। গাছ পূর্ণাঙ্গ উপযোগী না হওয়ায় জয়ন্তীনগর গ্রামের রাবার বাগান থেকে ৮ বছর পরে বাণিভজ্যিকভাবে রাবার কষ উৎপাদন শুরু হলো। বিশেষ পদ্ধতিতে গাছ থেকে রাবার কষ সংগ্রহ করা হচ্ছে। গাছের গোড়া থেকে ৭০-৭৫ সে.মি ওপরে গাছের চারদিকে এক মিটার পরিমাণ কাটা হয়। কাটা অংশের নিচে একটি মাটির তৈরি বাটি বসিয়ে দেয়া হয়। সে বাটিতে গাছ থেকে গড়িয়ে পড়ে রাবার কষ। এ রাবার বাগান থেকে গড়ে ২৫০০ থেকে তিন হাজার লিটার রাবার কষ বিক্রি সম্ভব হবে বলে উদ্যোক্তারা মনে করছেন। একটি রাবার গাছ থেকে দৈনিক ৫০০ গ্রাম রাবার পাওয়া যাবে। বাজার অনুযায়ী প্রতি লিটার রাবার ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি করা যাবে। রাবার কষ সংগ্রহের জন্য বেশ কিছু শ্রমিকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। রাবার উৎপাদন ছাড়াও বাগানটি পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। সারিবদ্ধ গাছ, সবুজের সমারোহ, বন্য প্রাণির আশ্রম, রাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ দেখতে অনেক দর্শনার্থী ভিড় জমান রাবার বাগানে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এ রাবার বাগান।
মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টু জানান, চট্টগ্রামে কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা আমাদের বাগান থেকে রাবার কিনে নেবেন। পারিবারিকভাবে আমরা এ রাবার বাগান করার পর এটি একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, রাবার একটি লাভজনক কৃষিভিত্তিক শিল্প। উদ্যোক্তারা চাইলে কৃষি বিভাগ থেকে রাবার বাগানে সব ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হবে।
মির্জানগর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান ভুট্টু জানান, চট্টগ্রামে কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা আমাদের বাগান থেকে রাবার কিনে নেবেন। পারিবারিকভাবে আমরা এ রাবার বাগান করার পর এটি একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, রাবার একটি লাভজনক কৃষিভিত্তিক শিল্প। উদ্যোক্তারা চাইলে কৃষি বিভাগ থেকে রাবার বাগানে সব ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়া হবে।