বাংলারজমিন

বগুড়ায় ভুল চিকিৎসায় স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ

বগুড়া প্রতিনিধি

২০ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

বগুড়ায় আবারো ভুল চিকিৎসায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শহরের অনুমোদনহীন একটি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় স্কুলপড়ুয়া সাকিব হাসান (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিকের মালিক ও কর্মকর্তারা পলাতক রয়েছেন। ১৮ই জুলাই দিনগত রাত ৯টার দিকে শহরের সাত মাথা হয়ে শেরপুর রোডের সাতানী বাড়ির সংলগ্ন ডলফিন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। মৃত সাকিব হাসান শহরের ফুলদীঘি পূর্বপাড়ার আবদুল আজিজ লিটনের ছেলে এবং শহরের ফয়জুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। এই মৃত্যুতে বগুড়ার সাধারণ মানুষ অনুমোদনহীন ক্লিনিকগুলো বন্ধের জোরালো দাবি জানিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার সিভিল সার্জন এসব অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিষয়ে অবগত থাকার পরেও কারো বিরুদ্ধে অভিযানে যায় না, যতক্ষণ পর্যন্ত না কোনো অঘটন ঘটে। অনেকেই আরো অভিযোগ করেছেন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হলেই শুধু তারা অভিযান চালায়। সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিহতের বাবা আবদুল আজিজ লিটন জানান, তার ছেলে সাকিব হাসান পেটের ব্যথায় ভুগছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার পেটে অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়ে। পরে এক প্রতিবেশীর পরামর্শে ১৮ই জুলাই বিকেলে ছেলেকে তিনি অস্ত্রোপচারের জন্য ওই ক্লিনিকে ভর্তি করান। সেই অনুযায়ী রাত ৮টার দিকে ছেলেকে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়। ডা. এ কে পাল ছেলেকে অপারেশন করান। অপারেশন থিয়েটার থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেলেকে বের করা হয়। তখন ছেলের দেহ নিথর মনে হয়। এর কিছু সময় পর তিনি ছেলেকে শহরের কানছগাড়ী এলাকায় অবস্থিত আরেকটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে ছেলেকে নিয়ে আবার ডলফিন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফেরেন। আবদুল আজিজ লিটন ও মা পান্না আকতার অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসকের ভুলের কারণে তাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তারা ছেলে হত্যার বিচার চান। এ ঘটনায় তারা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান। এদিকে ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিকের মালিক জন মন্ডল ও কর্মকর্তারা পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. এ কে পালের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ মহল নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেন। এ সময় বিএমএ নেতৃবৃন্দ ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status