অনলাইন
আদালতে ঘাতকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী
বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় অন্তঃসত্তা প্রেমিকাকে ওড়না পেছিয়ে হত্যা
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:০২ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কলেজ মনিলা সাঁওতালকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে প্রেমিক অনিল সাঁওতাল। বুধবার সন্ধ্যায় ম্যাজিষ্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম তার কামড়ায় জবানবন্দী রেকর্ড করেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম জানান, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ফাইনাল বর্ষের ছাত্র মাহঝিলের বাসিন্দা অনিল সাঁওতালের সাথে মনিলার প্রেমের বয়স ছিল প্রায় ছয় মাস। এরই মাঝে শারীরিক সম্পর্কের কারণে মনিলা অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। তাই মনিলা অনিলকে প্রয়োগ করতে থাকে তাকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে তুলে নেবার জন্য। তখন অনিল বিভিন্ন অজুহাতে মনিলাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে গত ১৪ জুলাই রাত ৩টার দিকে মনিলা অনিলের বাড়িতে উপস্থিত হলে অনিল ঘর থেকে বের হয় এবং পরে বিষয়টি দেখবো বলে তাকে বাড়ি চলে যেতে বলে। কিন্তু মনিলা তা শুনতে রাজি হয়নি। তখন অনিল রেগে তার বাড়ি থেকে বের হয়ে চা বাগানের ভেতরে চলে যায়। মনিলাও তার পেছনপেছন চা বাগানে যায়। এক পর্যায়ে অনিল বলে, তোমার পেটে যে বাচ্চা সেটা অন্য পুরুষের। এ নিয়ে দুজনার মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। অনিল উত্তেজিত হয়ে মনিলার ওড়না দিয়ে তাকে গলায় পেচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। লাশ লুকিয়ে রাখতে মনিলাকে টেনে হেছড়ে মাহঝিল গুটি বাড়ি নামক স্থানে ফেলে রাখে। এরপর থেকে মনিলাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কিন্তু গ্রামবাসী জানতে পারে মনিলার সঙ্গে অনিলের র্দীঘদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।তাই তাকে শালিসে ডেকে চাপ দিলে মনিলাকে খুনের ঘটনাটি প্রকাশ করে। ওই দিন ১৭ জুলাই সন্ধ্যায় ঘটনার তিনদিন পর গুটি বাড়িতে মনিলার মরদেহ জঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশকে খবর দিলে মাধবপুর থানার এসআই আবুল কাশেম অনিলকে গ্রেফতার সহ মনিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মনিলার ভাই মিঠুন সাঁওতাল বাদী হয়ে অনিলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৮ জুলাই অনিলের জবানবন্দী রেকর্ড শেষে বিচারক তৌহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠায়।