অনলাইন
তজুমদ্দিন উপজেলা উপ-নির্বাচন
প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
তজুমদ্দিন (ভোলা) সংবাদদাতা
১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৭:৫৯ পূর্বাহ্ন
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা উপ-নির্বাচন ২৫ জুলাই। নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে প্রার্থীরা দিনে রাত প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। নির্বাচনী মাঠে ৩ প্রার্থীই জয় নিশ্চিত করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে বেড়াচ্ছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনিত প্রাথীরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। নির্বাচনকে কেন্দ্রকরে উৎসব মুখর হয়ে উঠছে উপজেলা। বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, নির্বাচনী আইন মেনেই এখন পর্যন্ত তিন প্রার্থী প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান জানান, তজুমদ্দিনবাসী অত্যান্ত শান্তি প্রিয় উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোটে জনগণের রায়ে বিপুল ভোটে আমাকে নির্বাচিত করবেন। গতকাল তার নির্বাচনী এলাকার শিবপুর, খাসের হাট, মুচিবাড়ী, শম্ভুপুর, চাচড়া ও তজুমদ্দিন সদরসহ বেশ কয়টি স্থানে গভীর রাত পর্যন্ত সভা সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করেছেন। এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি চাঁদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর, সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়েদুল্যাহ নাসিম, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দার। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী গোলাম মোস্তফা মিন্টু দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ চালিছেন। তিনি জানান, সুষ্ঠ নির্বাচন হলে জয়লাভ করবেন। স্বতন্ত্রপ্রার্থী (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন দুলালও মাঠে সক্রিয়ভাবে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আওয়ামীলীগের কোনো নেতাকে তার সাথে গণসংযোগে দেখা যায়নি। জয়ের ব্যাপারে তিনিও আশাবাদী। গত ৩০ ডিসেম্বর অসুস্থতাজনিত কারণে তজুমদ্দিন উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান অহিদউল্যাহ জসিম সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নির্বাচন কমিশন ১৮ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেন। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন পত্র জমা দেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান, আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী নাছির উদ্দিন দুলাল ও বি.এন.পি প্রার্থ্রী গোলাম মোস্তফা মিন্টু। গত ২৯ মার্চ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ আদালতের নির্দেশে স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচনের সকল কার্যক্রম। প্রাপ্ত বয়স্ক কিছু লোক ভোটার হতে পারেনি মর্মে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ফখরুল আলম জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০ মার্চ ৪ সপ্তাহের জন্য নির্বাচন স্থগিত করে। ভোটার তালিকা সঠিক করার নির্দেশ দেন। এ রায়ের প্রায় ৪ মাস নির্বাচন পিছেয়ে যায়। এখন পুরো দমে চলছে নির্বাচনী হাওয়া।