দেশ বিদেশ
নির্বাচনী জোট গঠন নিয়ে বৈঠক
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
বৃহত্তর নির্বাচনী জোট গঠন নিয়ে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করেছে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন ৯টি দলের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় জোট। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয়া জাতীয় জোটের সদস্য দলগুলো হলো- তৃণমূল বিএনপি, গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স, সম্মিলিত ইসলামিক জোট, কৃষক শ্রমিক পার্টি, একামত আন্দোলন, জাগো দল, ইসলামিক ফ্রন্ট ও গণতান্ত্রিক জোট। বৈঠক শেষে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আমরা তাদের আগ্রহের কথা শুনেছি। আমাদের জোটনেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে বিষয়টি জানাবো। তিনি তাদের গ্রহণ করবেন কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাবেন। এদিকে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে অনেকেই জোট সম্প্রসারণের বিপক্ষে। তাদের মতে, ১৪ দল হচ্ছে আদর্শিক জোট। এতে কাউকে যুক্ত করলে আদর্শগত মতবিরোধ সৃষ্টি হতে পারে। তবে কোনো দল বা জোটের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্য করতে আপত্তি নেই শরিকদের। এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মানবজমিনকে বলেন, আমরা তো ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হতে চাই না। অর্থাৎ ১৫ দলীয় জোট গঠন করতে চায় না। আমরা বৃহত্তরও নির্বাচনী জোট গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ১৪ দলীয় জোটের বাইরে নির্বাচনী জোট গঠন হোক- এটা তিনি চান। নাজমুল হুদা বলেন, এর মাধ্যমে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী জোট গঠনের চেষ্টা করবো। এর নেতৃত্বে থাকবে জাতীয় জোট। তিনি জানান, বিষয়টি এখন নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। যেহেতু নির্বাচনী জোট সেহেতু আসন ভাগাভাগির বিষয়টি তো থাকবেই। এরইমধ্যে আমরা ৫৫টি আসনের তালিকা দিয়েছি। বিশেষ করে যেসব আসনে আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তিরা তৎপর সেসব আসনে আমরা জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে চায়। এতে সুফল মিলবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত, নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন জোটটি ২০১৫ সালে গঠনের পর আরও একবার ১৪ দলের সঙ্গে যুক্ত হতে বৈঠক করেছিল। ওই সময় ক্ষমতাসীন জোট থেকে নাজমুল হুদাকে সরাসরি জোটভুক্ত না হয়ে যুগপৎভাবে কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেয়া হয় এবং জোটে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে নির্বাচনের আগে বিবেচনার আশ্বাস দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন জোটটি ২০১৫ সালে গঠনের পর আরও একবার ১৪ দলের সঙ্গে যুক্ত হতে বৈঠক করেছিল। ওই সময় ক্ষমতাসীন জোট থেকে নাজমুল হুদাকে সরাসরি জোটভুক্ত না হয়ে যুগপৎভাবে কর্মসূচি পালনের পরামর্শ দেয়া হয় এবং জোটে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে নির্বাচনের আগে বিবেচনার আশ্বাস দেয়া হয়।