বাংলারজমিন
সাঁথিয়ায় গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ
সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:২০ পূর্বাহ্ন
পাবনার সাঁথিয়ায় গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আফড়া ভাদালে পাড়াতে। সাঁথিয়া থানায় ধর্ষিতার দায়েরকৃত মামলার বরাত দিয়ে ওসি তদন্ত আবদুল মজিদ জানান, সাঁথিয়া উপজেলার আফড়া ভাদালে পাড়ার এক গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় কাজ করার সুবাদে দুঃসম্পর্কের ভাসুর ভাদালে পাড়ার নুর বক্স মণ্ডলের ছেলে সোনাইয়ের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় তার বাপের বাড়ি আমিনপুর থানাধীন রূপপুরে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে তায়জাল বাজারে গিয়ে লম্পট ভাসুর ওকে নিয়ে সময়ক্ষেপণ করে। এতে গৃহবধূর সন্দেহ হলে ভাসুর সোনাইকে বলে রাত হয়ে যাচ্ছে তাড়াতাড়ি চলেন। পরে তাকে গাড়িতে করে পুণ্ডরিয়া বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেয়। রাত ৯টার দিকে পুণ্ডরিয়া মাদরাসার নিকট পৌঁছলে গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দেয় লম্পট সোনাই। এতে সে রাজি না হওয়ায় তার মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী পাট ক্ষেতের নিয়ে যায়। এ সময় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামি ওই একই গ্রামের আফতাবের ছেলে সুজন (২৮), আজিজ মোল্লার ছেলে ইদ্রিস (৫৫) জাফর প্রাং এর ছেলে আল হক (৩২), ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যায়। পরে সঙ্গে থাকা সোনাইসহ ৪ জনে গৃহবধূকে হাত-পা বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করে নরপশুরা। এ সময় ধর্ষিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ৪টার সময় ভাদালে পাড়া তার শশুরবাড়ির নিকটে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ধর্ষিতার শশুরবাড়ির লোকজন তাকে পানি ঢেলে সুস্থ করলে ঘটনার বিবরণ দেয় ওই ধর্ষিতা। ঘটনাটি এলাকায় মীমাংসার জন্য দিনভর চেষ্টা করে নরপশুরা। ধর্ষিতা রাজি না হওয়ায় মঙ্গলবার রাতে নিজে বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-১৭ তারিখ-১৭-৭-১৮। পরে পুলিশ বুধবার ভোররাত ৩টার দিকে সুজন ও আল হককে গ্রেপ্তার করে থানা নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ওসি তদন্ত আবদুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ২ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্যদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে। ধর্ষিতার পরীক্ষার জন্য পাবনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ওসি তদন্ত আবদুল মজিদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ২ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং অন্যদের আটকের জোর চেষ্টা চলছে। ধর্ষিতার পরীক্ষার জন্য পাবনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।