বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে ধরা পড়লো দুর্লভ ‘ফ্লাইং স্কুইরেল’
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
১৯ জুলাই ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:০৪ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গলের বনে ধরা পড়ল ‘ফ্লাইং স্কুইরেল’ বা ‘উড়ন্ত কাঠবিড়ালি’। দুর্লভ এই প্রাণি গতকাল সকালে বাংলাদেশ বন্য প্রাণি সেবা ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসেন পরিচালক সজল দেব। তিনি জানান, গত ১৪ই জুলাই কাজল হাজরা নামে এক সৌখিন আলোকচিত্রী বনের চা-বাগানে অসুস্থ অবস্থায় কাঠবিড়ালিটিকে পড়ে থাকতে দেখে তার বাড়িতে নিয়ে যান। তারপর সুস্থ করে তোলেন। গতকাল বুধবার প্রাণিটিকে বন্য প্রাণি সেবা ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর করেন। কাজল হাজরা সাংবাদিকদের জানান, ‘সখের বসে ছবি তুলতে প্রায়ই ক্যামেরা নিয়ে বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াই। গত ১৪ই জুলাই রাস্তার পাশের চা-বাগানে এই কাঠবিড়ালির বাচ্চাটিকে দেখতে পাই। স্পর্শ করে বুঝতে পারলাম এটি অসুস্থ। সেখান থেকে কাঠবিড়ালিটিকে বাড়িতে এনে দুধ, পানি ও কলা খাইয়ে কয়েকদিনে কিছুটা সুস্থ করে তুলি।’ বাংলাদেশ বন্য প্রাণি সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, এটি কাঠবিড়ালি প্রজাতির মধ্যে দুর্লভ। এর ইংরেজি নাম ‘পার্টিকালারড ফ্লাইং স্কুইরেল’ বা বিচিত্রা উড়ন্ত কাঠবিড়ালি।
মাথাসহ এদের দেহের দৈর্ঘ্য ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার আর লেজ ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। সজল দেব জানান, উড়ন্ত কাঠবিড়ালি নিশাচর ও বৃক্ষবাসী প্রাণি। মাটিতে তেমন পা ফেলে না। এক গাছ থেকে অন্য গাছে ১৫০ থেকে ২০০ ফুট দূরত্বে এরা উড়তে পারে। গাছের শিকড়, কুঁড়িপাতা, পিঁপড়ের ডিম ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। ওড়ার সময় লেজটাকে তারা লাগাম হিসেবে ব্যবহার করে। উড়ন্ত কাঠবিড়ালি সাধারণত ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তবে বিপন্ন বন্য পরিবেশ ও খাদ্যসংকটের কারণে এদের গড় আয়ু এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। সিলেট ও চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে এদের বেশি দেখা যায়’। তিনি জানান, উদ্ধারকৃত প্রাণিটি এখনো বেশ অসুস্থ। সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছি। সুস্থ হলে এটিকে অবমুক্ত করা হবে।
মাথাসহ এদের দেহের দৈর্ঘ্য ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার আর লেজ ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। সজল দেব জানান, উড়ন্ত কাঠবিড়ালি নিশাচর ও বৃক্ষবাসী প্রাণি। মাটিতে তেমন পা ফেলে না। এক গাছ থেকে অন্য গাছে ১৫০ থেকে ২০০ ফুট দূরত্বে এরা উড়তে পারে। গাছের শিকড়, কুঁড়িপাতা, পিঁপড়ের ডিম ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। ওড়ার সময় লেজটাকে তারা লাগাম হিসেবে ব্যবহার করে। উড়ন্ত কাঠবিড়ালি সাধারণত ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তবে বিপন্ন বন্য পরিবেশ ও খাদ্যসংকটের কারণে এদের গড় আয়ু এখন অর্ধেকে নেমে এসেছে। সিলেট ও চট্টগ্রামের বনাঞ্চলে এদের বেশি দেখা যায়’। তিনি জানান, উদ্ধারকৃত প্রাণিটি এখনো বেশ অসুস্থ। সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছি। সুস্থ হলে এটিকে অবমুক্ত করা হবে।