শিক্ষাঙ্গন
ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ
ভিসিকে স্মারকলিপি, প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি শিক্ষার্থীদের
বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার
১৭ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ৫:০২ পূর্বাহ্ন
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের একের পর এক হামলা, শিক্ষক নাজেহাল, ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচারণ, আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে প্রতিবাদ মুখর হয়ে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে প্রতিদিনই বিক্ষিপ্তভাবে মিছিল সমাবেশ, মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গতকালও ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এদিকে বারবার ক্যাম্পাসে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার সুষ্ঠু সমাধন বা প্রতিহতে ব্যর্থ প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী পদত্যাগ দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক নাজেহাল হওয়ার ঘটনায় কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকরা। দুপুরে বিজ্ঞান গ্রন্থাগারের প্রবেশমুখে কালো ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করে পর্দাথ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে তাদের নিরাপত্তা না দেবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আটক শিক্ষার্থীদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানায়। মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা ‘এমন ক্যাম্পাসই কি আমরা চেয়েছিলাম?’, ‘ক্যাম্পাস অনিরাপদ কেন?’, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে আমরা কেন আক্রান্ত?’ লেখা সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করে। শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসে আমরাই আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাদের শিক্ষদের ওপর এভাবে হামলা করা হচ্ছে, আমাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে, কিন্তু প্রশাসন চুপ করে বসে আছে। আমরা আমাদের ক্যাম্পাসে নিরাপদ থাকতে চাই। নির্ভয়ে ক্লাসে আসতে চাই।’ তারা বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে যেসব অন্যায়-অত্যাচার হচ্ছে তার বিচার দাবির অধিকার আমাদের রয়েছে। কিন্তু সেই স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না।’ এসময় এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘গত ২ জুন আমাদের বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মিঠুকে শাহবাগ ওভারব্রিজের ওপর থেকে ধরে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু সন্ত্রাসী পাবলিক লাইব্রেরির মধ্যে নিয়ে মারে। সে এখনও অসুস্থ। তার চিকিৎসার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় বহন করছে না।’ অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র হয়ে যারা অন্য ছাত্র ও শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় তারা যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তা বলতে লজ্জা লাগে। তারা অন্তত শিক্ষার্থী নয়, তারা সন্ত্রাসী।’