রেগে গেলেন পুতিন

রেগে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তার দিকে একটি তালিকা এগিয়ে দিলেন ফক্স নিউজের সাংবাদিক ক্রিস ওয়ালেস। বেশ কিছুক্ষণ পুতিনের সামনে তা ধরে রাখলেন তিনি। কিন্তু পুতিন তা স্পর্শও করলেন না। ফলে বাধ্য হয়েই ক্রিস ওয়ালেস সেটা রেখে দিলেন পাশের টি-টেবিলে। যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগে সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ের স্পেশাল কাউন্সেলর রবার্ট মুয়েলারের তদন্তে ১২ রাশিয়ানকে অভিযুক্ত করা হয়। ওই ১২ রাশিয়ানের নাম ছিল পুতিনের দিকে এগিয়ে দেয়া কাগজটিতে। এক পর্যায়ে পুতিন জবাবে বললেন, এ ইস্যুতে আমি মোটেও আগ্রহী নই। ক্রিস ওয়ালেসের সঙ্গে ৩৫ মিনিটের সাক্ষাতকার দেন রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট। এ সময় তিনি ট্রাম্প পরিবারের কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ বা তাদেরকে ব্লাকমেইল করার অভিযোগ অস্বীকার করেন। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ করার অভিযোগও প্রত্যাখ্যান করেন। তবে ক্রিস ওয়ালেসও ছাড়ার পাত্র নন। তিনি কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের আইন মন্ত্রণালয় থেকে যে ১২ রাশিয়ানকে অভিযুক্ত করে রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে তা সামনে নিয়ে আসেন। লিখিত অভিযোগটি তিনি পুতিনের সামতে তুলে ধরেন। চেষ্টা করেন তার হাতে দিতে। কিন্তু পুতিন তার অবস্থানে অটল থেকে হাত দিয়ে ওটা পাশের টেবিলে রাখার ইঙ্গিত দেন। সে মতোই শেষ পর্যন্ত কাজ করেন ক্রিস ওয়ালেস। পুতিনকে বার বার একই বিষয়ে ঘায়েল করার চেষ্টা করেন ক্রিস। জবাবে পুতিন বলেন, বিষয়টিকে এভাবে দেখুন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে বলে মানুষ আলোচনা করছে। এ বিষয়ে আমি ২০১৬ সালে কথা বলেছি। আবারও বলছি। রাশিয়া একটি রাষ্ট্র হিসেবে কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে নি। আর তো নির্বাচন অনেক পরের কথা। সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে পুতিনকে থামিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করার চেষ্টা করেন ক্রিস ওয়ালেস। এ সময় পুতিন তাকে থামিয়ে দেন। বলেন, আমি এ বিষয়েই কথা বলবো। একটু ধৈর্য্য ধরুন। তাহলেই আপনি প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। সেটা হলো যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ নিয়ে। আপনি কি বিশ্বাস করেন, রাশিয়ার মাটিতে থেকে কেউ একজন যুক্তরাষ্ট্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং লাখ লাখ আমেরিকানের পছন্দের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে? এটা একটা উদ্ভট ব্যাপার।