বাংলাদেশ কর্নার

ফুটবলে ডাইনি বুড়ি, উল্টো মোজা...

বিশ্বকাপ ডেস্ক

১৫ জুলাই ২০১৮, রবিবার, ৫:৩০ পূর্বাহ্ন

এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার মেসি আলোচনায় এসেছিলেন এক সাংবাদিকের মায়ের দেয়া ব্যান্ড পায়ে দিয়ে। শুধু মেসিই নয় ফুটবলারদের এমনি কিছু ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছিল বিভিন্ন সময়ে।

ডাইনি বুড়ি
১৯৭০ মেক্রিকো বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের টিকিট কাটতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় চাই অস্ট্রেলিয়ার। ১৯৬৯ সালে মোজাম্বিকে খেলার আগের দিন খেলোয়াড়রা হাজির হলেন এক ডাইনির কাছে। সেই ডাইনির কথা অনুযায়ী প্রতিপক্ষের গোল পোস্টের মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয় কিছু হাড়। ডাইনির সেই হাড়ের ভেলকি কাজে লেগেছিল। তারা জিম্বাবুয়েকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল সে ম্যাচে। এই জয়ে বিশ্বকাপে পা দেয় অজিরা। সেই ডাইনি অজি দলের কাছে আবদার করেছিল জয় পেলে দিতে হবে ১ হাজার পাউন্ড। সেই অর্থ দিতে আর রাজী হয়নি তারা। ডাইনি রেগে গিয়ে অভিশাপ দিয়েছিল প্রথম রাউন্ড পার হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারবে না অস্ট্রেলিয়া। তাই হয়েছিল অজিদের ভাগ্যে। ফারা কাটাতে আবারও হাজির সেই ডাইনির কাছে। প্রতিশ্রুত অর্থ এবং ডাইনির কথা অনুযায়ী কাজ করে অজি শিবির। পুরো স্টেডিয়ামে মুরগির রক্ত ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দুজন ফুটবলার সেই স্টেডিয়ামের কাদা মেখে গোসল করেন। তারপর অভিশাপ থেকে মুক্তি লাভ করে অস্ট্রেলিয়া দল। পরের ম্যাচে আবারও সেই জিম্বাবুয়ের সঙ্গে জয়ে ফেরে তারা।

পেলের জার্সি
ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার পেলে। একবার তিনি ম্যাচ শেষে নিজের একটি জার্সি এক ভক্তকে দিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর থেকেই নাকি তার পারফর্মেন্স খারাপ হতে থাকে। তার মাথায় আসে ওই জার্সিই কারণেই তিনি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন। তখন তিনি ওই জার্সির খোঁজে মরিয়া হয়ে পড়েন। পরে তার এক বন্ধু জার্সি উদ্ধার করে দেন। আবার স্বরূপে ফেরেন পেলে। কিন্তু পরে তার বন্ধু জানান, এটা সে জার্সি ছিল না। তারই ব্যবহ্রত পুরোনো একটি জার্সি ছিল এটি।

পা
ব্রাজিলের তারকা স্ট্রাইকার, জীবন্ত নক্ষত্র রোনাল্ডো। এই বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় মাঠে নামার আগে প্রথমে দিতেন ডান পা। এই টোটকাকেই তিনি ভাবতেন ভাল খেলার মূল মন্ত্র।

এমন বিশ্বাস করেন পর্তুগালের সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও। খেলার মাঠে বল পায়ে যাদুতে বিমোহিত করেন কোটি কোটি সমর্থকদের। কিন্তু তিনিও মেনে চলেন কিছু কুসংস্কার।
বিমান থেকে নামার সময় সবসময় আগে মাটিতে ডান পা রাখেন তিনি। আবার ক্লাবের হয়ে মাঠে নামবার সময় মাঠে পা রাখেন সবার শেষে। আবার উল্টো চিত্র দেখা যায় দেশের হয়ে খেলবার সময়। পর্তুগালের জার্সিতে তিনি নামেন সবার আগে।

হাতা কাটা জার্সি ও উল্টা মোজা
স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী ও রিয়াল মাদ্রিদের তারকা গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস। তিনি বিশ্বাস করেন নানান মন্ত্রে। যেমণ জার্সির হাতা কেটে ফেলতেন, কখনও বা ইচ্ছে করে মোজা পরতেন উল্টো করে। আর সবচেয়ে বেশি যা করতেন, তা হলো গোল লাইন পর্যন্ত বাঁ পা দিয়ে চিহ্ন দিয়ে রাখতেন। তার দাবি এগুলো করে তিনি হাতেনাতে ফল পান প্রতিনিয়ত।

মাঠে প্রস্রাব
মাঠে প্রস্রাব করলেই রুখে দেয়া যাবে পেনাল্টি। সাবেক আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক সার্জিও গয়কোচিয়ার বিশ্বাস ছিল এমন মিথে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে তিনি আটকিয়ে দিয়েছিলেন পেনাল্টি। তিনি খেলা শেষে স্বীকারও করেছিলেন, পেনাল্টি আটকানোর মন্ত্র ছিল  মাঠে প্রস্রাব করা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status