প্রথম পাতা
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা সুহেল গ্রেপ্তার
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ জুলাই ২০১৮, শুক্রবার, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক এপিএম সুহেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান সোহেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সুহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল ভোরে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর শান্তিনগরের চামেলীবাগের গণজাগরণ মঞ্চের নেত্রী লাকি আক্তারের বাসা থেকে সুহেলকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানান লাকি।
এর আগে গত ১লা জুলাই রাতে ভাষানটেকের মজুমদার মোড়ের ১২ নম্বর বাসা থেকে রাশেদ খানকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে পুলিশ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে রাশেদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
লাকী তার ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার বাসায় ভোররাত সোয়া ৪টা নাগাদ ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়। ৮-১০ জনের একটা দল...। শুরুতে তারা বেশ উত্তেজিত ছিলেন। আমি জানতে চাইলাম-এত রাতে কোন অভিযোগে আমার বাসায় তল্লাশি করবেন। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা দরজা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেন। আমি বললাম-আপনারা সকালে আসেন। অনেকক্ষণ বাগবিতণ্ডার পর শেষে তারা বাড়িওয়ালাকে নিয়ে এলে সাড়ে ৪টার দিকে আমি দরজা খুলি।
তিনি আরো লেখেন, ‘ক্যাম্পাসে আমার ডিপার্টমেন্টের ছোট ভাই এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক সুহেল আমার বাসায় ছিল। তারা (সাদা পোশাকধারী লোকজন) তাকে তুলে নিয়ে গেছে। যাওয়ার আগে বাসার কম্পিউটারের বিভিন্ন ফাইল ফোল্ডার চেক করে। এ ছাড়া সুহেল যে রুমে ছিল সেখানে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালানো হয়। সুহেলের ব্যবহৃত একটি ফোন ছাড়া আর কিছুই তারা পায়নি। লাকি আরো লেখেন, ‘প্রায় দেড় ঘণ্টা তারা আমার বাসায় অবস্থানকালে সুহেলকে আলাদা রুমে হাতকড়া পরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় তারা আমাদের ফোনগুলো জব্দ করে রাখেন। আমার ফোনও তারা চেক করেন।’
সুহেলকে আটকের খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা রাজধানীর মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যান। রাস্তায় বসে থাকেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সুহেলের ছোট ভাই সুমন জানান, আমার ভাই কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। আমরা জানতে পেরেছি যে, ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে তুলে নিয়ে গেছে। ডিবি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাকে আটকের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তার কিছুদিন পর মিডট্রাম ফাইনাল পরীক্ষা। আমাদের দাবি থাকবে পরীক্ষার আগেই যেন তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
লাকির বাসায় পুলিশি তল্লাশির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, সিপিবির সদস্য ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারের বাসায় পুলিশের তল্লাশিতে লাকির পরিবারের লোকজন তো বটেই আশপাশের বাসাতে পুলিশ আতঙ্কিত করে তোলে। পুলিশকে সকালে আসতে বললে, তারা দরজা ভেঙ্গে ঢোকার হুমকি দেয়। বাসার মধ্যে ঢুকে তারা ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও গালিগালাজ করে। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেলকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ততার জন্য জিজ্ঞাসাবাদের নামে পুলিশ গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সামরিক স্বৈরাচারী সরকারের সময়ের কথাই মনে করিয়ে দেয়। সরকার এখন সব কিছুতেই ভয় পেতে শুরু করেছে। কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবির আন্দোলনকে সরকার চাতুরতার আশ্রয় নিয়ে নির্মমভাবে দমন করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু, এভাবে সরকার কেবল তার কবর খননের কাজ ত্বরান্বিত করছে। নেতৃবৃন্দ কমরেড লাকি আক্তারের বাসায় গোয়েন্দা পুলিশের তল্লাশির বিচার দাবি করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান সোহেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সুহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল ভোরে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর শান্তিনগরের চামেলীবাগের গণজাগরণ মঞ্চের নেত্রী লাকি আক্তারের বাসা থেকে সুহেলকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানান লাকি।
এর আগে গত ১লা জুলাই রাতে ভাষানটেকের মজুমদার মোড়ের ১২ নম্বর বাসা থেকে রাশেদ খানকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে পুলিশ তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে রাশেদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
লাকী তার ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার বাসায় ভোররাত সোয়া ৪টা নাগাদ ডিবি পুলিশ অভিযান চালায়। ৮-১০ জনের একটা দল...। শুরুতে তারা বেশ উত্তেজিত ছিলেন। আমি জানতে চাইলাম-এত রাতে কোন অভিযোগে আমার বাসায় তল্লাশি করবেন। বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে তারা দরজা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দেন। আমি বললাম-আপনারা সকালে আসেন। অনেকক্ষণ বাগবিতণ্ডার পর শেষে তারা বাড়িওয়ালাকে নিয়ে এলে সাড়ে ৪টার দিকে আমি দরজা খুলি।
তিনি আরো লেখেন, ‘ক্যাম্পাসে আমার ডিপার্টমেন্টের ছোট ভাই এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক সুহেল আমার বাসায় ছিল। তারা (সাদা পোশাকধারী লোকজন) তাকে তুলে নিয়ে গেছে। যাওয়ার আগে বাসার কম্পিউটারের বিভিন্ন ফাইল ফোল্ডার চেক করে। এ ছাড়া সুহেল যে রুমে ছিল সেখানে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালানো হয়। সুহেলের ব্যবহৃত একটি ফোন ছাড়া আর কিছুই তারা পায়নি। লাকি আরো লেখেন, ‘প্রায় দেড় ঘণ্টা তারা আমার বাসায় অবস্থানকালে সুহেলকে আলাদা রুমে হাতকড়া পরিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় তারা আমাদের ফোনগুলো জব্দ করে রাখেন। আমার ফোনও তারা চেক করেন।’
সুহেলকে আটকের খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্যরা রাজধানীর মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে যান। রাস্তায় বসে থাকেন। এ সময় তার পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সুহেলের ছোট ভাই সুমন জানান, আমার ভাই কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী কাজের সঙ্গে জড়িত নয়। আমরা জানতে পেরেছি যে, ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে তুলে নিয়ে গেছে। ডিবি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাকে আটকের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তার কিছুদিন পর মিডট্রাম ফাইনাল পরীক্ষা। আমাদের দাবি থাকবে পরীক্ষার আগেই যেন তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
লাকির বাসায় পুলিশি তল্লাশির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি। গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আলম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি, সিপিবির সদস্য ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারের বাসায় পুলিশের তল্লাশিতে লাকির পরিবারের লোকজন তো বটেই আশপাশের বাসাতে পুলিশ আতঙ্কিত করে তোলে। পুলিশকে সকালে আসতে বললে, তারা দরজা ভেঙ্গে ঢোকার হুমকি দেয়। বাসার মধ্যে ঢুকে তারা ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও গালিগালাজ করে। এ সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেলকে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ততার জন্য জিজ্ঞাসাবাদের নামে পুলিশ গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, গোয়েন্দা পুলিশের এ ধরনের কর্মকাণ্ড সামরিক স্বৈরাচারী সরকারের সময়ের কথাই মনে করিয়ে দেয়। সরকার এখন সব কিছুতেই ভয় পেতে শুরু করেছে। কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবির আন্দোলনকে সরকার চাতুরতার আশ্রয় নিয়ে নির্মমভাবে দমন করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু, এভাবে সরকার কেবল তার কবর খননের কাজ ত্বরান্বিত করছে। নেতৃবৃন্দ কমরেড লাকি আক্তারের বাসায় গোয়েন্দা পুলিশের তল্লাশির বিচার দাবি করেন।