বাংলাদেশ কর্নার
এমবাপ্পে-লুকাকুদের নিয়ে এ কী বললেন ম্যারাডোনা
স্পোর্টস ডেস্ক
১০ জুলাই ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
ইউরোপিয়ান দলে আফ্রিকান অভিবাসী খেলোয়াড়দের নিয়ে উদ্ভট মন্তব্য করলেন দিয়েগো ম্যারাডোনা। যারা চার বেলা খাবারের জন্য আফ্রিকা ছেড়ে ইউরোপিয়ান দলগুলোর হয়ে খেলছেন বলে দাবি করেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। রাশিয়া বিশ্বকাপে এবার অল-ইউরোপিয়ান সেমিফাইনাল দেখবে ফুটবল বিশ্ব। ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম দলে অনেক আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফুটবলার আছেন। এ তালিকায় আছেন পল পগবা, কিলিয়ান এমবাপ্পে, রোমেলু লুকাকু, ডেলে আলির মতো তারকা খেলোয়াড়রা। এবারের বিশ্বকাপে ২৩ সদস্যের ফ্রান্স দলের ১৪ জনই আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। দলে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় প্রায় ৭৯ ভাগ । ফ্রান্স দলে মোট ১১টি দেশের বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় রয়েছেন। আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, কঙ্গো, সেনেগাল, নাইজেরিয়ান পরিবারে বেড়ে ওঠা ফুটবলাররা ফরাসিদের পতাকা বহন করছেন। যে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়ে এতো মাতামাতি তার জন্ম ফ্রান্সে হলেও বাবা ক্যামেরুনিয়ান ও মা আলজেরীয়। ফ্রান্সের আরেক তারকা পল পগবার বাবা-মা দুইজনই গিনি থেকে ফ্রান্সে পাড়ি জমান। ফ্রান্সের তুলনায় সংখ্যাটা কম হলেও ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম দলেও আছেন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়। দুই দল মিলিয়ে যা প্রায় ৪৮ ভাগ। ইংল্যান্ডের ডেলে আলি ছাড়াও আছেন অ্যাশলে ইয়াং ও ড্যানি ওয়েলবেক।
বেলজিয়ামের তারকা স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু ও মিডফিল্ডার মারুয়ান ফেলাইনি অন্যতম। আফ্রিকান ফুটবলারদের ইউরোপিয়ান দলগুলোতে নাগরিকত্ব নিয়ে খেলার বিষয়েই খেপেছেন ম্যারাডোনা। পুরো বিষয়টি তিনি ‘মাফিয়া’র সঙ্গে তুলনা করেন। ম্যারাডোনা বলেন, ‘আফ্রিকান খেলোয়াড়কে নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য ইউরোপে নিয়ে যাওয়া হয়। খেলোয়াড়রাও এতে সম্মত হয় কারণ তারা উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ পায়। তারা এটিকে নিজেদের মূল্য প্রমাণের সুযোগ হিসেবে নিতে চায়। এতে দিনে চারবেলা খাবারের নিশ্চয়তা তো আছেই। যেভাবে খোলায়াড়রা অভিবাসী হচ্ছে তা ভয়ানক। বড় দলগুলোতে অতীতে এমনটি দেখা যেতো না।’
বেলজিয়ামের তারকা স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু ও মিডফিল্ডার মারুয়ান ফেলাইনি অন্যতম। আফ্রিকান ফুটবলারদের ইউরোপিয়ান দলগুলোতে নাগরিকত্ব নিয়ে খেলার বিষয়েই খেপেছেন ম্যারাডোনা। পুরো বিষয়টি তিনি ‘মাফিয়া’র সঙ্গে তুলনা করেন। ম্যারাডোনা বলেন, ‘আফ্রিকান খেলোয়াড়কে নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য ইউরোপে নিয়ে যাওয়া হয়। খেলোয়াড়রাও এতে সম্মত হয় কারণ তারা উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ পায়। তারা এটিকে নিজেদের মূল্য প্রমাণের সুযোগ হিসেবে নিতে চায়। এতে দিনে চারবেলা খাবারের নিশ্চয়তা তো আছেই। যেভাবে খোলায়াড়রা অভিবাসী হচ্ছে তা ভয়ানক। বড় দলগুলোতে অতীতে এমনটি দেখা যেতো না।’