ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
বাঁচা-মরার ম্যাচে মুখোমুখি পর্তুগাল-ইরান
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ জুন ২০১৮, সোমবার, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
ড্র করলেই নকআউট পর্বে উঠে যাবে পর্তুগাল। দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করতে হলে ইরানের জয়ের বিকল্প নেই। রাশিয়া বিশ্বকাপে এমন সমীকরণের ম্যাচে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগালের মুখোমুখি হচ্ছে ইরান। গ্রুপ পর্বে এটাই দুই দলের শেষ ম্যাচ। মরদোভিয়া অ্যারেনায় আজ রাত ১২টায় খেলা শুরু হবে। একই সময়ে ‘বি’ গ্রুপের অপর খেলায় মরক্কোকে মোকাবিলা করবে স্পেন। দুই ম্যাচ শেষে এক জয় ও এক ড্রয়ে স্পেন ও পর্তুগালের সমান ৪ পয়েন্ট। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ইরান। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ শেষ মরক্কোর। গোল ব্যবধানে ইরানের চেয়ে এগিয়ে স্পেন-পর্তুগাল। নকআউট পর্ব নিশ্চিত করতে পর্তুগালের ১ পয়েন্টই যথেষ্ট। তবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে জয় ভিন্ন কিছু ভাবছে না ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা। ইরানের সামনে প্রথমবার নকআউট পর্বে ওঠে ইতিহাস গড়ার হাতছানি! এর আগে চারবার বিশ্বকাপ খেলে প্রতিবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় এশিয়ার দলটি। ইরানের ডাগআউট সামলাচ্ছেন পর্তুগিজ কোচ কার্লোস কুইরোজ। এর আগে দুই মেয়াদে (১৯৯১-৯৩ ও ২০০৮-১০) পর্তুগালের কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০০৩-০৪ মৌসুমে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের কোচের দায়িত্ব পালন করেন। ইরানের সঙ্গে সাত বছরের কোচিং অধ্যায়ে পর্তুগাল ম্যাচকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন কুইরোজ। তিনি বলেন, ‘আমরা জয়ের লক্ষ্যেই খেলবো। সেই বিশ্বাস ও সংকল্প খেলোয়াড়দের রয়েছে। যখন আমরা রাশিয়ায় পা রাখি কেউই আমাদের সম্ভাবনা দেখেনি। কিন্তু আমরা এখনো স্বপ্নপূরণের লড়াই করছি।’ ইরানের ডিফেন্স ভাঙা হবে পর্তুগালের বড় চ্যালেঞ্জ। নিখুঁত ফুটবল খেলতে চোখ রাখছেন পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। ২০১৪ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর তার অধীনে ২৬ ম্যাচের ২০টিতে জয় পায় পর্তুগাল। হার মাত্র দুই ম্যাচে। ১০ ম্যাচে জয় আসে এক গোলের ব্যবধানে। অন্য ম্যাচগুলোতে বেশিরভাগই ছিল দুর্বল প্রতিপক্ষ। মরক্কোর বিপক্ষে অনেকবার বলের নিয়ন্ত্রণ হারায় পর্তুগাল। এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে সান্তোসকে। তিনি বলেন, ‘ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারানোর বিষয়টিতে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। আগের ম্যাচে আমরা অনেকবার ভুল পাস দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। এর পুনরাবৃত্তি করা যাবে না। প্রতিপক্ষ বিবেচনায় এরকম ম্যাচে বল পায়ে রাখতে না পারলে বিপদে পড়তে হবে।’ মরক্কোর বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে (১-০) অতিরিক্তি সময়ের আত্মঘাতী গোলের সুবাদে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইরান।
দ্বিতীয় ম্যাচে তারা স্পেনের কাছে ১-০ গোলে হার মানে। পর্তুগালের চারটি গোলই রোনালদোর। রোনালদোর হ্যাটট্রিকেই স্পেনের বিপক্ষে ৩-৩ গোলের রোমাঞ্চকর ড্র করে পর্তুগিজরা। মরক্কোর বিপক্ষে খেলা শুরুর চার মিনিটের মাথায় রেকর্ডময় গোল করেন রোনালদো। ওই এক গোলেই খেলার নিষ্পত্তি ঘটে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসেন রোনালদো (৮৫)। ছাড়িয়ে যান হাঙ্গেরি কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসকে। একইসঙ্গে বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে দিয়েগো ম্যারাডোনার করা সর্বাধিক ৬ গোলের কীর্তি স্পর্শ করেন পর্তুগালের মহাতারকা। ইরানের বিপক্ষে দুইবারের সাক্ষাতেই জয় পায় পর্তুগাল। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৬ বিশ্বকাপের ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে ২-০ গোলের জয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল উদ্যাপন করেন রোনালদো। এশিয়ান দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপে চার ম্যাচের তিনটিতে জয় পায় পর্তুগাল। ২০০২ আসরে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হার মানে ইউরোপিয়ান পরাশক্তিরা। বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে সাত ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি ইরান (১ ড্র ও ৬ হার)। একমাত্র ড্র ১৯৭৮ আসরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
‘বি’ গ্রুপের সমীকরণ
মরক্কোর কাছে হেরে গেলে স্পেনকে তাকিয়ে থাকতে হবে পর্তুগাল-ইরান ম্যাচে। গ্রুপের শীর্ষ দুইটি দল যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হলে গোল ব্যবধান হিসেবে করা হবে। তাও সমান হলে দেখা হবে কোন দল বেশি গোল করেছে। এরপরে আসবে হেড-টু-হেড সমীকরণ। সেখানেও গ্রুপের শীর্ষ দুই দল চূড়ান্ত না হলে সামনে আনা হবে ডিসিপ্লিনারি রেকর্ড। গোল ব্যবধানে স্পেন ও পর্তুগালের চেয়ে পিছিয়ে ইরান। ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে হলে ইরানের জয়ের বিকল্প নেই। স্পেন ও পর্তুগাল দুই দলই ৪ গোল দিয়ে একটি হজম করে। ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে এগিয়ে থাকায় গ্রুপের শীর্ষে স্পেন। প্রথম দুই ম্যাচে স্পেন একটি ও পর্তুগাল দুইটি হলুদ কার্ড দেখে।
দ্বিতীয় ম্যাচে তারা স্পেনের কাছে ১-০ গোলে হার মানে। পর্তুগালের চারটি গোলই রোনালদোর। রোনালদোর হ্যাটট্রিকেই স্পেনের বিপক্ষে ৩-৩ গোলের রোমাঞ্চকর ড্র করে পর্তুগিজরা। মরক্কোর বিপক্ষে খেলা শুরুর চার মিনিটের মাথায় রেকর্ডময় গোল করেন রোনালদো। ওই এক গোলেই খেলার নিষ্পত্তি ঘটে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে বসেন রোনালদো (৮৫)। ছাড়িয়ে যান হাঙ্গেরি কিংবদন্তি ফেরেঙ্ক পুসকাসকে। একইসঙ্গে বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে দিয়েগো ম্যারাডোনার করা সর্বাধিক ৬ গোলের কীর্তি স্পর্শ করেন পর্তুগালের মহাতারকা। ইরানের বিপক্ষে দুইবারের সাক্ষাতেই জয় পায় পর্তুগাল। এর মধ্যে রয়েছে ২০০৬ বিশ্বকাপের ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের ম্যাচটিতে ২-০ গোলের জয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল উদ্যাপন করেন রোনালদো। এশিয়ান দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপে চার ম্যাচের তিনটিতে জয় পায় পর্তুগাল। ২০০২ আসরে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হার মানে ইউরোপিয়ান পরাশক্তিরা। বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে সাত ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি ইরান (১ ড্র ও ৬ হার)। একমাত্র ড্র ১৯৭৮ আসরে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।
‘বি’ গ্রুপের সমীকরণ
মরক্কোর কাছে হেরে গেলে স্পেনকে তাকিয়ে থাকতে হবে পর্তুগাল-ইরান ম্যাচে। গ্রুপের শীর্ষ দুইটি দল যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হলে গোল ব্যবধান হিসেবে করা হবে। তাও সমান হলে দেখা হবে কোন দল বেশি গোল করেছে। এরপরে আসবে হেড-টু-হেড সমীকরণ। সেখানেও গ্রুপের শীর্ষ দুই দল চূড়ান্ত না হলে সামনে আনা হবে ডিসিপ্লিনারি রেকর্ড। গোল ব্যবধানে স্পেন ও পর্তুগালের চেয়ে পিছিয়ে ইরান। ইতিহাসে প্রথমবার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে হলে ইরানের জয়ের বিকল্প নেই। স্পেন ও পর্তুগাল দুই দলই ৪ গোল দিয়ে একটি হজম করে। ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে এগিয়ে থাকায় গ্রুপের শীর্ষে স্পেন। প্রথম দুই ম্যাচে স্পেন একটি ও পর্তুগাল দুইটি হলুদ কার্ড দেখে।