অনলাইন
চট্টগ্রামে আটক জামায়াতের ২২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
২৪ জুন ২০১৮, রবিবার, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম মহানগরীর স্টেশন রোডে অবস্থিত পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল সৈকতে অভিযান চালিয়ে আটক জামায়াত-শিবিরের ২২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক গোলাম ফারুক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে জানান একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন। তিনি জানান, শনিবার রাতে নগরীর কোতয়ালী থানার একদল পুলিশ পর্যটন মোটেল সৈকতে অভিযান চালিয়ে জামায়াত-শিবিরের ২১০ নেতাকর্মীকে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী আ জ ম ওবায়দুল্লাহও রয়েছেন। আটককৃত সবাইকে রাতে কোতোয়ালী থানায় রাখা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে জামায়াত শিবিরের ২১০ নেতাকর্মীর নামে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনের নামে নাশকতা চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর রোববার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মোহাম্মদ মহসিন। নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসাইন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পর্যটন মোটেল সৈকতে শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে জামায়াত-শিবিরের ২১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। পারাবার নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা ঈদ পুর্নমিলনীর নামে রাষ্ট্রবিরোধী নাশকতা কাজের চেষ্টায় সেখানে জড়ো হয়ে গোপন বৈঠক করছিল। সংগঠনটি শিবিরের চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সাংস্কৃতিক শাখা। বৈঠকের জন্য তারা পুলিশের কাছ থেকে কোন ধরনের অনুমতিও নেয়নি। আর এই বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী আ জ ম ওবায়দুল্লাহ। বাকীরা ছিলেন জামায়াত-শিবিরের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী। এদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধে আগের মামলা ছিল বলে জানান তিনি।
তবে পর্যটন মোটেল সৈকতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, মোটেলে কোন গোপন বৈঠক নয়, দুপুর থেকে পারাবার সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছিল তারা। এতে নাশকতা বা রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কার্যকলাপ আমাদের চোখে পড়েনি।
তবে পর্যটন মোটেল সৈকতের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের বলেন, মোটেলে কোন গোপন বৈঠক নয়, দুপুর থেকে পারাবার সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীর পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছিল তারা। এতে নাশকতা বা রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কার্যকলাপ আমাদের চোখে পড়েনি।