বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
২৪ জুন ২০১৮, রবিবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গলে চিকিৎসকের অবহেলায় এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার দিকে ওই রোগীর মৃত্যু হয় বলে নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এদিকে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় একাট্টা হয়ে ক্ষোভে-বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় চা শ্রমিকরা। ওই চিকিৎসককে অপসারণের জন্য দাবি তুলেছেন তারা। জানা যায়, উপজেলার কালীঘাট ইউনিয়নের কালীঘাট চা বাগানের ৪নং শ্রমিক লাইনের বাসিন্দা অসুস্থ চা শ্রমিক রবি নাগ ওরফে মোমিন (২৪)কে শুক্রবার বিকাল ৪ টার দিকে কালীঘাট হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। রাতে তার অবস্থার অবনতি হয়। এ সময় বারবার যোগাযোগ করা হলেও কর্তব্যরত কোন চিকিৎসকই হাসপাতালে আসেননি। পরে বিনা চিকিৎসায় মোমিনের মৃত্যু হয় বলে নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন। কালীঘাট হাসপাতালের ড্রেসার সুরেশ বুনার্জী বলেন, রাতের বেলা রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে আমি ম্যাডামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেছি। তখন তিনি আসতে পারবেন না বলে রোগীকে বালিশিরা মেডিকেল (বিএম) হাসপাতালে প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেন। কালীঘাট চা বাগানের ব্যবসায়ী শান্ত তাঁতী বলেন, ডাক্তার না আসার কারণে আমরা রোগীকে নিয়ে বালিশিরা মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালীঘাট হাসপাতাল থেকে মাত্র ১০০ গজের দূরত্বে অবস্থিত বালিশিরা মেডিকেল হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর ডা. মারুফ আলম জানান, আমাদের হাসপাতালে আসার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর শনিবার সকালে বালিশিরা ভ্যালির এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মঈনুদ্দিন হাসান নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি। এদিকে লাখাই চা বাগানের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. জার্জিস হোসেন বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষ থেকে ঘটনার আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
কালীঘাট হাসপাতাল থেকে মাত্র ১০০ গজের দূরত্বে অবস্থিত বালিশিরা মেডিকেল হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর ডা. মারুফ আলম জানান, আমাদের হাসপাতালে আসার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার পর শনিবার সকালে বালিশিরা ভ্যালির এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মঈনুদ্দিন হাসান নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি। এদিকে লাখাই চা বাগানের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার মো. জার্জিস হোসেন বলেন, বাগান কর্তৃপক্ষ থেকে ঘটনার আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।