বাংলারজমিন
রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর স্বজনকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
২৪ জুন ২০১৮, রবিবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
হাসপাতালের নৈশ প্রহরী দ্বারা শিশুরোগীর মাকে (২২) ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোরটসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত শিশুপুত্রকে চিকিৎসা করাতে এসে হাসপাতালের নৈশ প্রহরী তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত নৈশ প্রহরী মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সোহাগ মৃধা (৩৮) উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আ. বারেক মৃধার ছেলে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে হাসপাতালের বাইরে দোকান থেকে ফেরার সময় নৈশ প্রহরী সোহাগ হাসপাতালের নিচতলার একটি কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। সেখান থেকে যাওয়ার সময় হঠাৎ সোহাগ তাকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক ওই কক্ষের ভেতর টেনে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নৈশ প্রহরী সোহাগ। এ সময় চিৎকার করলে সোহাগ তাকে ছেড়ে দেয়। পরে শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে ওই নারী সবাইকে বিষয়টি জানায়। এছাড়াও তার এক আত্মীয়কেও মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়। পরে রাতেই ওই আত্মীয় থানা থেকে পুলিশ নিয়ে হাসপাতালে ছুটে যায়।
ওই নারী আরো অভিযোগ করেন, এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল ছাড়তে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে নৈশ প্রহরী সোহাগ। এছাড়া বিষয়টি কাউকে জানালে বা কোথাও অভিযোগ করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় সোহাগ।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আমি জরুরি প্রয়োজনে ঢাকার পথে রয়েছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রাজাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফিরোজ আলম বলেন, ‘ঘটনা শুনে রাতেই হাসপাতালে গিয়েছি। তবে, অভিযুক্ত সোহাগকে পাইনি। অভিযোগকারী ওই নারীকে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ওই নারী কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ওই নারী আরো অভিযোগ করেন, এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতাল ছাড়তে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে নৈশ প্রহরী সোহাগ। এছাড়া বিষয়টি কাউকে জানালে বা কোথাও অভিযোগ করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় সোহাগ।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আমি জরুরি প্রয়োজনে ঢাকার পথে রয়েছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
রাজাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফিরোজ আলম বলেন, ‘ঘটনা শুনে রাতেই হাসপাতালে গিয়েছি। তবে, অভিযুক্ত সোহাগকে পাইনি। অভিযোগকারী ওই নারীকে থানায় লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ওই নারী কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।