বাংলাদেশ কর্নার

রাশিয়ান ফুটবল ভক্তদের উজ্জীবিত করলেন যেই মডেল

মানবজমিন ডেস্ক

২৩ জুন ২০১৮, শনিবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

সাবেক মিস রাশিয়া ভিক্টোরিয়া লোপিরেভা। ফুটবল অঙ্গনে তার আগ্রহ প্রথমে খুব বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়নি। ভক্তদের মধ্যেও সংশয় ছিল। কিন্তু শেষমেশ সংশয়বাদীদের ভুল প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন রুশ এই সুন্দরী। এনওয়াই পোস্টকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘২০০৩ সালে মিস রাশিয়া হয়েছিলাম। এর কিছুদিন পর একটি টিভিশো উপস্থাপনার আমন্ত্রণ পাই। কয়েক বছর পর রাশিয়ান প্রথম নারী হিসেবে ফুটবল নিয়ে টিভি শো উপস্থাপনা করি।’ সে সময়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে ভিক্টোরিয়া লোপিরেভা বলেন, ‘তখন বিষয়টা একটু জটিল ছিল। এটা সহজ ছিল না কারণ- যেকোনো ক্ষেত্রেই প্রথমবারের মতো কোনো কিছু করা কঠিন হয় বৈকি। দর্শকরা, বিশেষ করে ফুটবল দর্শকরা প্রথম দিকে মানতে পারেন নি যে, কোন নারী ফুটবল নিয়ে কথা বলবেন। কিন্তু এখন মিস রাশিয়া, একজন টিভি উপস্থাপিকা টিভিতে ফুটবল শোতে হাজির হচ্ছেন এবং তিনি ফুটবল নিয়ে কথা বলছেন। প্রথমদিকে এটা অপ্রত্যাশিত ছিল আর সেটাই ছিল সফলতার চাবিকাঠি।’
৩৪ বছরের লোপিরেভা এখন ফিফা বিশ্বকাপ শিরোপা ট্যুর অ্যাম্বাস্যাডর। বিশ্বমঞ্চে নিজের নতুন এই পরিচিতি আপন করে নিয়েছেন লোপিরেভা। সোশাল মিডিয়াতে তার লাখ লাখ ভক্তের কাছেও এখন লোপিরেভার ফুটবল সংশ্লিষ্টতা সমর্থন পাচ্ছে। ইন্সটাগ্রামে তার রয়েছে ২০ লাখ ফলোয়ার। বিশ্বকাপ ট্রফি ট্যুর অ্যাম্বাস্যাডর 
নির্বাচিত হওয়া নিয়ে লোপিরেভা বলেন, ‘এটা অনেক বড় একটা পাওয়া। এটা অনেক বড় সম্মানের। সেই সঙ্গে গোটা বিশ্বের সামনে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার এই সুযোগ আমার কাছে অনেক বড় একটা দায়িত্ব। যখন আমাকে এ দায়িত্বের জন্য বেছে নেয়া হয়, আমি প্রথমে উপলব্ধি করিনি এটা কত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে এবং তাদেরকে আমার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানাতে পেরেছি।’
বিশ্ববাসীর সামনে রাশিয়ান সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরতে চান লোপিরেভা। তিনি বলেন, ‘এখানে বিভিন্ন নাগরিকত্বের মানুষ বসবাস করেন। নানা ধর্মের বৈচিত্র্যও রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবার। আমাদের অতিথিদের জন্য আমাদেরকে চেনা জানা, আমাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে ধারণা নেয়ার দারুণ একটা সুযোগ এই বিশ্বকাপ। একইসঙ্গে এটা আমাদের জন্য অতিথি আপ্যায়নের ভালো একটা উপলক্ষ।’
লোপিরেভা মনে করেন স্পোর্টসের মতো অন্য কোনো কিছু মানুষকে এত কাছে আনে না। তিনি বলেন, ‘ফুটবলের যে বিষয়টা আমার সবচেয়ে ভালো লাগে সেটা হলো এই খেলা মানুষকে একসূত্রে গাঁথে। ফুটবল খেলার চেয়েও অনেক বেশি কিছু। এটা আবেগ, একটা জীবনধারা বলতে পারেন। আপনার গায়ের রং কি, আপনার ধর্ম কি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি যদি ফুটবল ভালোবাসেন, ফুটবল যদি আপনার আবেগের জায়গা হয়, আপনার প্রিয় খেলা হয় তাহলে আপনি স্টেডিয়ামে একা এলেও দেখবেন আপনার চারপাশে সমমনা কয়েক শ’ মানুষ। নিজেকে আর একা মনে হবে না।’
লোপিরেভার পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাশিয়ান ফুটবলপ্রেমী অনেক তরুণী-যুবতীরা ইন্ডাস্ট্রিতে আসার অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন। লোপিরেভা বলেন, ‘আমি যেই বার্তাটি দিতে চাই সেটা হলো কোনো সীমানা নেই। সীমাবদ্ধতা শুধু আমাদের মনে। আপনি যদি কোনো কিছু করতে চান। সেটা নিয়ে যদি আপনি আবেগি হন তাহলে আপনি নিজের সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটুন। সফলতা আসবেই।’
এবারের বিশ্বকাপকে ঘিরে সব রাশিয়ানদের মতো লোপিরেভাও একটি স্বপ্ন দেখছেন। সেটা হলো তার দেশ বিশ্বকাপ জিতবে। ফেভারিটদের তালিকায় রাশিয়া নেই বটে। তবে, নিজ দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখলে ক্ষতি কি? লোপিরেভা বলেন, একজন রাশিয়ান হিসেবে আমাদের জাতীয় দলকে তাদের শেষ মিনিটের খেলা পর্যন্ত সমর্থন করে যাবো।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status