প্রথম পাতা
সুতোয় ঝুলে পড়লো সকারুদের ভাগ্য
স্পোর্টস ডেস্ক
২২ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ১০:০৯ পূর্বাহ্ন
আসরে টিকে থাকতে হলে জয়ের দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবে গতকাল ডেনমার্কের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে সুতোয় ঝুলছে সকারুদের ভাগ্য। আগামী ২৬শে জুন গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে পেরুর মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া। নকআউট পর্বে আশা বাঁচাতে ওই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই তাদের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ২-১ গোলে হার দেখে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে দুই ম্যাচে এক জয় ও এক ড্রয়ে ‘সি’ গ্রুপে শীর্ষে রইলো ডেনমার্ক। প্রথম ম্যাচে পেরুকে ১-০ গোলে হারায় ডেনিশরা। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী ২৬শে জুন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ডেনমার্ক। এ ম্যাচে হার এড়ালেই দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট কাটবে ১৯৯২’র ইউরো চ্যাম্পিয়ন ডেনমার্ক। এ ম্যাচে দলের খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে খুশি অজি কোচ বার্থ ব্যান মারউইক। তিনি বলেন, খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট। এখন দুই ম্যাচে আমাদের পয়েন্ট ১। তবে আমি মনে করি এখন আমাদের পয়েন্ট থাকার কথা ছিল ৪। আমরা এটা প্রাপ্য ছিলাম। তবে প্রথম ম্যাচে হারের পর ছেলেরা ভালো খেলেছে। শেষ ম্যাচ জিতে পরের রাউন্ডে যেতে চাই আমরা। এদিন রাশিয়ার সামারায় ম্যাচের সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যায় ডেনমার্ক। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিকোলাই জার্গেনসেনের পাসে গোল করেন ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। ২০তম মিনিটে ডেনমার্কের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন অজি মিডফিল্ডার রবি ক্রুস। ৩৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে অস্ট্রেলিয়াকে সমতায় ফেরান অ্যাস্টন ভিলার ফরোয়ার্ড মিলে জেডিনাক। নিজেদের ডি-বক্সে বল ডেনিশ ফরোয়ার্ড ইউসুফ পলসেনের হাতে লাগলেও প্রথমে রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়। পরে ভিডিও অ্যাসিসট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) সহায়তায় পেনাল্টি পায় অস্ট্রেলিয়া। চলতি আসরে এ নিয়ে দ্বিতীয় গোল করলেন জেডিনাক। আসরের প্রথম ম্যাচে সকারুদের হয়ে একমাত্র গোলটিও করেন তিনি। ঐ গোলটিও আসে পেনাল্টি থেকে। আর বিশ্বকাপে এটা তার তৃতীয় গোল। আসরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যা কোনো খেলোয়াড়ের এটা দ্বিতীয় সর্বাধিক গোলের রেকর্ড। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বাধিক ৪ গোলের রেকর্ড রয়েছে ফরোয়ার্ড টিম ক্যাহিলের। এবার দলে থাকলেও শুরুর দুই ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বাধিক চতুর্থবার বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া ৩৪ বছর বয়সী এ ফুটবলার। গতকাল ৪১তম মিনিটে এরিকসেনের ফ্রি-কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিরতির তৃতীয় মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন প্রথম ম্যাচে পেরুর বিপক্ষে গোল করা ডেনিশ ফরোয়ার্ড ইউসুফ পলসেন। পরপর দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ডেনমার্কের হয়ে মাঠে নামতে পারবেন না তিনি। ৭১তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ডেনিশ মিডফিল্ডার অ্যান্ড্রু নাবাউট। এর তিন মিনিট পর কাঁধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।