বাংলারজমিন
উলিপুরে পুরুষশূন্য দুই গ্রাম, নারীসহ গ্রেপ্তার ৩
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
২২ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
কুড়িগ্রামের উলিপুরে সালিশ বৈঠকে পুলিশের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষের ঘটনায় পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে দুই গ্রামের মানুষ। গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঈদের জামাতে অংশ নেয়নি এলাকার ৫ শতাধিক পুরুষ। একটি গ্রামের মসজিদে নামাজ আদায় করেছে মাত্র ৭ জন বয়োবৃদ্ধ। এছাড়াও আসামিদের না পেয়ে মহিলাসহ মানসিক রোগীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। গভীর রাতে আসামি ধর-পাকড় করার নামে মহিলাদের হুমকি-ধামকি ও লাঞ্ছনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না জানিয়ে বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে আমাকেসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করতে পারেন। সালিশ বৈঠকে জমিদার রায় নামে এক পৌর কাউন্সিলকে লাঞ্ছিত করার জের ধরে পুলিশের লাঠিচার্জের ফলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে জনতা। এতে স্থানীয় জনতা, পুলিশ ও কাউন্সিলরসহ আহত হন ১০ জন। ঘটনাটি ঘটেছে উলিপুর উপজেলার পৌর এলাকার পশ্চিম শিববাড়ি ও ঠগপাড়া গ্রামে। গ্রেপ্তার এড়াতে বর্তমানে পুরুষশূন্য হয় পড়েছে ওই দুই গ্রামের মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, পৌরসভার পশ্চিম শিববাড়ি গ্রামের মোক্তার আলীর কন্যা ইনুকা বেগমের (২৫) সঙ্গে পশ্চিম নাওডাঙ্গা গ্রামের নাছির উদ্দিনের পুত্র আসাদুল ইসলামের (৩৫) সঙ্গে ৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের নামে দুই শতক জমি লিখে দিয়ে সেখানেই ঘরজামাই হিসেবে সংসার করছিল তারা। কিন্তু দুজনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ইনুকাকে তালাক দেয় আসাদুল। পরে দুই শতক জমি দাবি করে নিজের নামে লিখে দেয়ার জন্য সাবেক স্ত্রী ও স্বজনদের চাপ দেয় আসাদুল। ৮ই জুন ইনুকাদের বাড়িতে এসে পুনরায় চাপ সৃষ্টি করলে তাকে আটকে রাখে স্বজনরা। এ ঘটনায় আসাদুলের ভাই সফিকুল ৯ই জুন উলিপুর থানায় ইনুকা ও স্বজনদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করে। পুলিশ ওই ওয়ার্ডের (২নং) কাউন্সিলর জমিদার রায়কে নিয়ে ওইদিন রাতে আসাদুলকে উদ্ধার করতে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা-বৈঠকের চেষ্টা করে। এনিয়ে কাউন্সিলর জমিদার রায়ের সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে লাঞ্ছিত করে বৈঠকে আসা লোকজন। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় স্থানীয় জনতা। এ সময়, উমর আলী (৭০), জোসনা বেগম (৬২), আদরী বেগম (৩৩), আসাদুল (৩৫), কাউন্সিলর জমিদার রায় (৩২) ও পুলিশসহ আহত হয় প্রায় ১০ জন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর জমিদার রায় জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশসহ আসাদুলকে উদ্ধার করতে গেলে আমার উপর জনতা অন্যায়ভাবে হামলা করে। ফলে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে নামীয় ১৪ জন ও অজ্ঞাতনামা ৪০-৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। হয়রানির অভিযোগ পেলে আমাকে অথবা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসী সূত্র জানায়, পৌরসভার পশ্চিম শিববাড়ি গ্রামের মোক্তার আলীর কন্যা ইনুকা বেগমের (২৫) সঙ্গে পশ্চিম নাওডাঙ্গা গ্রামের নাছির উদ্দিনের পুত্র আসাদুল ইসলামের (৩৫) সঙ্গে ৩ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মেয়ের নামে দুই শতক জমি লিখে দিয়ে সেখানেই ঘরজামাই হিসেবে সংসার করছিল তারা। কিন্তু দুজনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় ইনুকাকে তালাক দেয় আসাদুল। পরে দুই শতক জমি দাবি করে নিজের নামে লিখে দেয়ার জন্য সাবেক স্ত্রী ও স্বজনদের চাপ দেয় আসাদুল। ৮ই জুন ইনুকাদের বাড়িতে এসে পুনরায় চাপ সৃষ্টি করলে তাকে আটকে রাখে স্বজনরা। এ ঘটনায় আসাদুলের ভাই সফিকুল ৯ই জুন উলিপুর থানায় ইনুকা ও স্বজনদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করে। পুলিশ ওই ওয়ার্ডের (২নং) কাউন্সিলর জমিদার রায়কে নিয়ে ওইদিন রাতে আসাদুলকে উদ্ধার করতে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি নিয়ে মীমাংসা-বৈঠকের চেষ্টা করে। এনিয়ে কাউন্সিলর জমিদার রায়ের সঙ্গে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাকে লাঞ্ছিত করে বৈঠকে আসা লোকজন। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় স্থানীয় জনতা। এ সময়, উমর আলী (৭০), জোসনা বেগম (৬২), আদরী বেগম (৩৩), আসাদুল (৩৫), কাউন্সিলর জমিদার রায় (৩২) ও পুলিশসহ আহত হয় প্রায় ১০ জন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর জমিদার রায় জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশসহ আসাদুলকে উদ্ধার করতে গেলে আমার উপর জনতা অন্যায়ভাবে হামলা করে। ফলে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে নামীয় ১৪ জন ও অজ্ঞাতনামা ৪০-৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না। হয়রানির অভিযোগ পেলে আমাকে অথবা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে পারেন।