বাংলারজমিন
আলফাডাঙ্গায় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জমি লিখে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
২২ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
সম্প্রতি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল ওহাব পানুœ মিয়া এবং উপজেলার বিলপুটিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল মোল্যার ছেলে কামাল হোসেন উরফে এরিয়ন এর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক স্কুলের জমি লিখে নেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই উপজেলার জয়দেবপুর গ্রামের ওমেদ মোল্যার ছেলে মো. মোশারফ হোসেন। তিনি মৌখিক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, গত ০৩-০৫-২০১৮ আলফাডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল নং-৮৯৩১ আলফাডাঙ্গা উপজেলাধীন জয়দেবপুর মৌজা জেএল নং-১২৫ বিএস খতিয়ান নং-৩৪৬ হাল দাগ নং-৪১৮ হতে স্কুলের দখল কৃত জমি ৮ শতাংশ এবং ১২/৪১ বারাংকুলা মৌজায় ৭ শতংশ জমি উক্ত দলিলের মাধ্যমে লিখে নিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন উক্ত দলিলের দাতা মো. মোশারফ হোসেন। তিনি অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন গত ৩/৫/২০১৮ ইং তারিখে বিলপুটিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল মোল্যার ছেলে কামাল হোসেন উরফে এরিয়ন আমাকে জমি মিউটিশন করে দেবে বলে জমির কাগজপত্রসহ আমাকে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেলে তোলেন। পরে সেখানে না গিয়ে উপজেলার হেলেঞ্চা গ্রামে বুড়াইচ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পান্নু মিয়ার বড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে আমাকে একটা অন্ধকার কক্ষে আটকে রাখে। তার কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যানের দেহরক্ষী স্বাধীন মিয়া পিতা অজ্ঞাত অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দলিলে স্বাক্ষর দিতে বলেন। আমি স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে আমি প্রাণ ভয়ে স্বাক্ষর করি। তার কিছুক্ষণ পরই দেখতে পাই আলফাডাঙ্গার সাবরেজিস্ট্রার মো. কামরুজ্জামান কবির, দলিল লেখক ইছানুরসহ অফিসের সহকারীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে উক্ত দলিলে স্বাক্ষর করেন। আমি প্রাণ ভয়ে চুপ থেকেছি পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার কাছে স্কুলের জমির কাগজপত্র চাইলে আমি দিতে ব্যর্থ হয়ে বিষয়টি প্রকাশ করি। পরে আমি আলফাডাঙ্গা সাবরেজিস্ট্রার অফিসে গিয়ে দলিলের হুবহু নকল কপি তুলে দেখতে পাই দুই মৌজায় ১৫ শতংশ জমি নিচে উল্লিখিত ব্যক্তিগণের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। ১. মো. আব্দুল ওহাব পান্নু মিয়া (৫৩), পিতা মরহুম আব্দুল লতিফ মিয়া গ্রাম হেলেঞ্চা, মো. কামাল হোসেন (২৮), পিতা আব্দুল জলিল মোল্যা গ্রাম বিল পুটিয়া কামালের স্ত্রী-সারাবান তহুরা (ইভা) (২৪) এবং ছেলে আদিল রহমান (৫) এর পক্ষে কামাল হোসেন। তিনি আরো বলেন ইতিমধ্যে কামাল আমার একমাত্র ছেলে হাবিবুল্লাহকে খুঁজছে তাকে আটকে তার নামের জমি লিখে নেবে এবং আমাকে ও আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এ নিয়ে আমি আমার পরিবার চরম হতাশায় ভুগছি। তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু মিয়া বলেন, আমি টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেছি বল প্রয়োগের বিষয়টি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আলফাডাঙ্গা সাবরেজিস্ট্রার মো. কামরুজ্জামান কবির বলেন জমির দলিল চেয়ারম্যানের বাড়িতে সম্পাদক করা হয়েছে এটা সঠিক দাতা নিজের সম্মতিতে টাকা বুঝে পেয়েছেন বলে আমাকে জানিয়ে ছিলেন তবে বলপ্রয়োগের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।