দেশ বিদেশ

সকল নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানকে তালিকার আওতায় আনার দাবি শিক্ষক-কর্মচারীদের

স্টাফ রিপোর্টার

২২ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা ও আলাদা কমিটি গঠন করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গতকাল আন্দোলনের ১২তম দিনে জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের বরাবর স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।
প্রেস ক্লাবের সামনে বসতে না দেয়ায় রাস্তার ঠিক  উল্টো পাশে খোলা আকাশের নিচে বসেই ঈদের আগে থেকে আন্দোলন করে আসছেন তারা। তাদের এই অবস্থান কর্মসূচিতে প্রতিদিনই যোগ দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। ‘কেউ খাবে, কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না’, ‘এমপিও না হলে, ঘরে ফিরে যাবো না’, ‘এক দফা এক দাবি, এমপিও কবে দিবি’- এমন নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন তারা। এ বিষয়ে নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী বলেন, সরকারি হিসাব অনুযায়ী সারা দেশে ৫ হাজার ২৪২টি নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদ্‌রাসা ও কারিগরি) এমপিওভুক্তির আওতায় আনতে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ২৭ দফায় আমরা শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেছি। প্রতিবারই শিক্ষামন্ত্রীসহ নানা মহলের আশ্বাস নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরেছি। কিন্তু আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় আমরা ক্লাসে ফিরে যাই। প্রস্তাবিত বাজেটে এ নিয়ে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার কথা রয়েছে কিন্তু বাস্তবে তার কোনো পদক্ষেপ নেই। তাই বাধ্য হয়েই ঈদের দিনসহ টানা ১২দিন ধরে আমরা রাজপথে বসে আন্দোলন করছি। শিক্ষকদের এই নেতা আরও বলেন, সকল প্রতিষ্ঠান এমপিও করার কথা থাকলেও আমাদের ঐক্য নষ্ট করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিও নীতিমালা তৈরি করেছে। নতুন করে কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী কিছু প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ করা হলেও অধিকাংশরাই এ থেকে বঞ্চিত হবেন। এটি আমরা মেনে নেব না। আমাদের সকল প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি না হলে আমরা এবার আর ক্লাসে ফিরে যাবো না। তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের যোগদানের বয়সসীমা এখন ৩৫ বছর করা হয়েছে। আমরা ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে শিক্ষাকতা করছি। এখন যদি ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয় তবে আমাদের কী পরিণতি হবে? তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো নীতিমালা বা কমিটি মানি না। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দাবি আদায়ে আগামী ২২শে জুন রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ২৩শে জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন, ২৪শে জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ২৫মে জুন সোমবার থেকে আমরণ অনশন পালনের ঘোষণা দেয়া হবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status