দেশ বিদেশ
মানহানির দুই মামলায় খালেদার জামিন প্রশ্নে আদেশ ৫ই জুলাই
স্টাফ রিপোর্টার
২২ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন
মানহানির পৃথক দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আদেশের জন্য আগামী ৫ই জুলাই দিন ধার্য করেছেন বিচারিক আদালত। রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে করা পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এ দিন ধার্য করেন দু’টি আদালতের বিচারক। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম ও যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করার মামলায় জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব এ দিন ধার্য করেন। দুই মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুুর রেজাক খান ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া, কায়সার কামাল, জয়নাল আবেদিন মেজবা প্রমুখ।
এ দু’টি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য গত ২২শে মে হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে গত ৩১শে মে এক আদেশে খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করে বিচারিক আদালতে তার করা আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত ৬ই জুন এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়। আদেশের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়, ‘খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর ও জামিনের আবেদন নিষ্পত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ভুল পথে পরিচালিত হয়েছেন।’ পরে এ আদেশের কপি পাওয়ার পর আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। ১১ই জুন এক সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত এক আদেশে হাইকোর্টের দেয়া ওই আদেশ বহাল রাখেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক দু’টি আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫শে জুন ধার্য করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এর আগে দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ১৭ই মে রাষ্ট্রপক্ষকে আদেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত। আদেশে আগামী ৫ই জুলাইয়ের মধ্যে এ আদেশ কার্যকর করে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানানো এবং তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। শুনানি নিয়ে আদালত ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। পরে তেজগাঁও থানা পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। অন্যদিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০শে আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে খালেদাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।
এ দু’টি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের জন্য গত ২২শে মে হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে গত ৩১শে মে এক আদেশে খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নিষ্পত্তি করে বিচারিক আদালতে তার করা আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। গত ৬ই জুন এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশ প্রকাশিত হয়। আদেশের পর্যবেক্ষণে উল্লেখ করা হয়, ‘খালেদা জিয়ার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর ও জামিনের আবেদন নিষ্পত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ভুল পথে পরিচালিত হয়েছেন।’ পরে এ আদেশের কপি পাওয়ার পর আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। ১১ই জুন এক সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত এক আদেশে হাইকোর্টের দেয়া ওই আদেশ বহাল রাখেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক দু’টি আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ২৫শে জুন ধার্য করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এর আগে দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ১৭ই মে রাষ্ট্রপক্ষকে আদেশ দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত। আদেশে আগামী ৫ই জুলাইয়ের মধ্যে এ আদেশ কার্যকর করে আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানানো এবং তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩রা নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। শুনানি নিয়ে আদালত ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন। পরে তেজগাঁও থানা পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে সংশ্লিষ্ট আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। অন্যদিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০শে আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মহানগর হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে খালেদাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।