দেশ বিদেশ

বাজেট আলোচনায় নির্বাচন ও নির্বাচনকালীন সরকার

সংসদ রিপোর্টার

২২ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন

সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে নির্বাচন ও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন এমপিরা। তারা বলেছেন, উন্নয়নের কথা স্বীকার করে আগামী নির্বাচনেও দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে পুনর্বার নির্বাচিত করবে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে কে আসলো বা কে আসলো না, এটা আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের কোনো ব্যাপার নয়। এমপিরা বলেন, স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সময় যে নির্বাচনকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করবে সেই সরকারের প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সরকারি দলের আবদুর রহমান, এবি তাজুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান মানিক, মাহবুব আলী, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, সাবিনা আক্তার তুহিন, সেলিনা বেগম, বেগম ওয়াশিকা আয়শা খান এবং জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ও নুরুল ইসলাম তালুকদার। আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, উন্নয়নের কথা স্বীকার করে আগামী নির্বাচনেও দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে পুনর্বার নির্বাচিত করবে। নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে দেশের জনগণের অবশিষ্ট স্বপ্ন পূরণ করে দেশকে উন্নয়ন-অগ্রগতির মহাসোপানে নিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বের সামনে অপ্রত্যাশিত উন্নয়নের মডেল। কোনো ষড়যন্ত্রই এই অগ্রযাত্রা রুখতে পারবে না। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে একটি রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অনিবার্য করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে বলেন, এদেশে অনেক নিবন্ধিত দল আছে। নিবন্ধিত সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সময় যে নির্বাচনকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করবে সেই সরকারের প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই কোনো ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। যারা ষড়যন্ত্র করছেন তারা ষড়যন্ত্রের পথ ছেড়ে দিন।  জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন করা বিশাল চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নৈতিক শক্ত অবস্থানের প্রয়োজন রয়েছে। ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও হরিলুটের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তার কোনো তথ্য এই বাজেটে নেই। প্রতিবছরই বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এদের কর্মসংস্থানেরও কোনো দিকনির্দেশনা নেই বাজেটে। প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দের দাবি জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের গত ১০ বছর দেশের যে বিস্ময়কর উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে, তা দেশে বিশ্বনেতারাও বঙ্গবন্ধুর ভাষায় বলছেন বাঙালি জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ আজ জঙ্গি-সন্ত্রাস, অগ্নিসন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও মুক্ত। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে। তাই দেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে উন্মুখ।
বিএনপি-জামায়াতসহ অপশক্তিরা শত ষড়যন্ত্র করেও শেখ হাসিনাকে আটকাতে পারবে না।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। দেশ যখন সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন পরাজিত অপশক্তি বিএনপি-জামায়াত দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্তে মেতে উঠেছে। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে কে আসলো বা কে আসলো না, এটা আওয়ামী লীগ কিংবা সরকারের কোনো ব্যাপার নয়। এটি যেকোনো রাজনৈতিক দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। আওয়ামী লীগ কখনো পেছনের দরজা, ষড়যন্ত্র কিংবা সেনা ছাউনির সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ প্রতিবারই ক্ষমতায় এসেছে গণতান্ত্রিক উপায়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমেও জনগণ ফের আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে। জাতীয় পার্টির সদস্য নুরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা লুট হয়ে গেল, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়ে গেল, পুঁজিবাজার কেলেঙ্কারি ঘটলো, কিন্তু দোষী কাউকেই ধরা হলো না, শাস্তি হলো না। যে অন্যায় করে, আর যারা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় তারা উভয়েই দোষী। কিন্তু বাজেটে এ নিয়ে কোনো কথা নেই। সরকারি দলের মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, রাশিয়ার মানুষ ভ্লাদিমির পুতিনকে ২৫ বছর দেশ পরিচালনার সুযোগ দিয়েছে, মালয়েশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদ টানা ২২ বছর ক্ষমতায় থাকার পর আবার তিনি ক্ষমতাসীন হয়েছেন। এ কারণেই দেশ দু’টির এতো উন্নতি। বাংলাদেশের মানুষও আগামী নির্বাচনে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পৌঁছানোর জন্য শেখ হাসিনার অব্যাহত শাসন নিশ্চিত করবে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status