শেষের পাতা
স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশি হত্যা মামলায় লড়বেন শীর্ষ মানবাধিকার আইনজীবী
মানবজমিন ডেস্ক
২২ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
স্কটল্যান্ডে বাংলাদেশি হত্যা মামলায় আইনি লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন সেখানকার মানবাধিকার বিষয়ক শীর্ষ আইনজীবী আমির আনোয়ার। হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত স্কটল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর স্নাইপার যোদ্ধা মাইকেল রসকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পর তিনি এ পদক্ষেপ নিলেন। কয়েক দশক আগে সেখানকার অর্কনি দ্বীপপুঞ্জে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন শামসুদ্দিন মাহমুদ নামের ওই বাংলাদেশি। তিনি একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি করতেন। এ খবর দিয়েছে স্কটল্যান্ডের দৈনিক দ্য প্রেস এন্ড জার্নাল।
খবরে বলা হয়, নিহত শামসুদ্দিন অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের একটি ভারতীয় মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি করতেন। ১৯৯৪ সালে তাকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশধারী অজ্ঞাত ব্যক্তি। অনুসন্ধানে শামসুদ্দিনের হত্যাকারী হিসেবে স্কটল্যান্ডের রয়্যাল আর্মির তৃতীয় পদাতিক ডিভিশন ‘ব্ল্যাক ওয়াচের’ স্নাইপার মাইকেল রসের নাম উঠে আসে। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০০৮ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়।
কিন্তু ২০১৪ সালে জেল থেকে পাঠানো এক বার্তায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন রস। ওই বার্তায় তিনি বলেন, শামসুদ্দিনের মৃত্যুর খবর শোনার আগ পর্যন্ত তিনি তাকে চিনতেনই না। এমনকি তাদের কখনো সাক্ষাৎও হয়নি। তার এই বার্তা নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ভার্চুয়াল জগতে ‘জাস্টিস ফর মাইকেল রস’ নামে একটি আন্দোলন গড়ে ওঠে। তাদের দাবি, স্নাইপার মাইকেল রস ন্যায়বিচার পাননি। তারা সাজা পুনর্বিবেচনা করার জন্য স্কটল্যান্ডের ক্রিমিনাল কেস রিভিউ কমিশনের কাছে দাবি তোলেন। পাশাপাশি তার পক্ষে দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করার জন্য ২০ হাজার পাউন্ড তহবিল সংগ্রহ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় মাইকেল রসের মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন মানবাধিকার বিষয়ক প্রসিদ্ধ আইনজীবী আমির আনোয়ার। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই আইনজীবী কারাগারে বন্দি রসের সঙ্গে দেখা করেছেন। কারাগার থেকে পাঠানো এক বার্তায় রস বলেছেন, ‘আমিরের সঙ্গে আমার কার্যকর আলোচনা হয়েছে। আমি জানি, মামলা পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেয়া সহজ কাজ না। তবে মামলা চালানোর জন্য আমাকে কারো না কারোর ওপর নির্ভর করতেই হবে। বিচার প্রক্রিয়ার ওপর কোনো বিশ্বাস আমার নেই। কিন্তু এটা জানি যে, তিনি আমার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। এ বিষয়ে আমির আনোয়ার বলেন, মানুষ মনে করে যে, এ মামলায় ন্যায়বিচারের অবমাননা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও সাক্ষ্যও রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, জাস্টিস ফর মাইকেল রসের একজন মুখপাত্র বলেন, রসের মামলার দায়িত্ব মানবাধিকার বিষয়ক প্রসিদ্ধ আইনজীবী আমির আনোয়ার নিয়েছেন। এতে আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা মাইকেলকে জেল থেকে বের করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। তার নতুন জীবন শুরু করার ক্ষেত্রে যদি কেউ সাহায্য করতে পারেন, তিনি হলেন আমির আনোয়ার।
উল্লেখ্য, আমির আনোয়ার স্কটল্যান্ডের প্রসিদ্ধ আইনজীবী। ১৯৮৬ সালে তিনি পাকিস্তান থেকে স্কটল্যান্ডে পাড়ি জমান। পরে সেখানে আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।
খবরে বলা হয়, নিহত শামসুদ্দিন অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের একটি ভারতীয় মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি করতেন। ১৯৯৪ সালে তাকে গুলি করে হত্যা করে মুখোশধারী অজ্ঞাত ব্যক্তি। অনুসন্ধানে শামসুদ্দিনের হত্যাকারী হিসেবে স্কটল্যান্ডের রয়্যাল আর্মির তৃতীয় পদাতিক ডিভিশন ‘ব্ল্যাক ওয়াচের’ স্নাইপার মাইকেল রসের নাম উঠে আসে। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে ২০০৮ সালে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়।
কিন্তু ২০১৪ সালে জেল থেকে পাঠানো এক বার্তায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন রস। ওই বার্তায় তিনি বলেন, শামসুদ্দিনের মৃত্যুর খবর শোনার আগ পর্যন্ত তিনি তাকে চিনতেনই না। এমনকি তাদের কখনো সাক্ষাৎও হয়নি। তার এই বার্তা নিয়ে দেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ভার্চুয়াল জগতে ‘জাস্টিস ফর মাইকেল রস’ নামে একটি আন্দোলন গড়ে ওঠে। তাদের দাবি, স্নাইপার মাইকেল রস ন্যায়বিচার পাননি। তারা সাজা পুনর্বিবেচনা করার জন্য স্কটল্যান্ডের ক্রিমিনাল কেস রিভিউ কমিশনের কাছে দাবি তোলেন। পাশাপাশি তার পক্ষে দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করার জন্য ২০ হাজার পাউন্ড তহবিল সংগ্রহ করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় মাইকেল রসের মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন মানবাধিকার বিষয়ক প্রসিদ্ধ আইনজীবী আমির আনোয়ার। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই আইনজীবী কারাগারে বন্দি রসের সঙ্গে দেখা করেছেন। কারাগার থেকে পাঠানো এক বার্তায় রস বলেছেন, ‘আমিরের সঙ্গে আমার কার্যকর আলোচনা হয়েছে। আমি জানি, মামলা পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেয়া সহজ কাজ না। তবে মামলা চালানোর জন্য আমাকে কারো না কারোর ওপর নির্ভর করতেই হবে। বিচার প্রক্রিয়ার ওপর কোনো বিশ্বাস আমার নেই। কিন্তু এটা জানি যে, তিনি আমার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। এ বিষয়ে আমির আনোয়ার বলেন, মানুষ মনে করে যে, এ মামলায় ন্যায়বিচারের অবমাননা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য ও সাক্ষ্যও রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, জাস্টিস ফর মাইকেল রসের একজন মুখপাত্র বলেন, রসের মামলার দায়িত্ব মানবাধিকার বিষয়ক প্রসিদ্ধ আইনজীবী আমির আনোয়ার নিয়েছেন। এতে আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা মাইকেলকে জেল থেকে বের করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে চাই। তার নতুন জীবন শুরু করার ক্ষেত্রে যদি কেউ সাহায্য করতে পারেন, তিনি হলেন আমির আনোয়ার।
উল্লেখ্য, আমির আনোয়ার স্কটল্যান্ডের প্রসিদ্ধ আইনজীবী। ১৯৮৬ সালে তিনি পাকিস্তান থেকে স্কটল্যান্ডে পাড়ি জমান। পরে সেখানে আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন।