দেশ বিদেশ

করপোরেট ট্যাক্সে লেভেল প্লেয়িং হয়নি: এমসিসিআই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

২২ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কতিপয় কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হয়নি। এই প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করা দরকার বলে মনে করছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)। গতকাল মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত বাজেট আলোচনায় এ কথা বলেন এমসিসিআই সভাপতি নেহাদ কবির। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাঈদী সাত্তার, শিল্পগোষ্ঠী এসিআইয়ের চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলা, সাবেক বাণিজ্যসচিব সোহেল আহমেদ চৌধুরী, এমসিসিআইয়ের কর সংক্রান্ত উপ-কমিটির সদস্য সাইদ আহমেদ খান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর ও কেপিএমজি’র জ্যেষ্ঠ অংশীদার আদিব এইচ খান। নেহাদ কবির বলেন, শুধু কিছু ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছে। অথচ অসংখ্য কোম্পানি রয়েছে গেছে যাদের করহার কমানো হয়নি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রেও করহার কমানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এই করহার কমানোর ক্ষেত্রে কিছুটা লেভেল প্লেইং ফিল্ড মেনে তৈরি করা উচিত। এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, করপোরেট ট্যাক্স নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। বলা হচ্ছে আমরা ব্যাংকারদের সুবিধা দিয়েছি। প্রকৃত অর্থে তারা সৌভাগ্যক্রমে সুবিধা পেয়েছে। তবে সবার ক্ষেত্রে কমানো হলে অনেক রাজস্ব আহরণ কম হতো। তাই কমানো সম্ভব হয়নি। এছাড়া অর্থমন্ত্রীর ইচ্ছা ছিল, এবার করপোরেট কর কমানো হবে। কিন্তু ঢালাওভাবে করপোরেট কর কমালে অনেক রাজস্ব ক্ষতি হয়। মোবাইল ফোন অপারেটর ও তামাক খাতের কোম্পানিগুলো ছাড়া ব্যাংকের করপোরেট কর হার সবচেয়ে বেশি। তাই ব্যাংকের করপোরেট করহার কমানো হয়েছে। আমরা তাদের করপোরেট করহার কমিয়েছি; যাতে তারা সুদের হার কমাতে পারে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে কম সুদে ঋণ না দিলে সেই সুবিধা তারা পাবে না। ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলো কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।

অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট ট্যাক্স বিদ্যমান ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭.৫ শতাংশ প্রস্তাব করেছেন। আর অনিবন্ধিত ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট ট্যাক্স বিদ্যমান ৪২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান, সঞ্চয়পত্রের ওপরে একটা আঘাত হবে কারণ তাদের রেট একটু বেশি। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এখান থেকে আসে মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই কারণে ব্যাংকের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। আমরা এটাকে অটোমেশনের আওতায় আনবো। সঞ্চয়পত্রে সুদের হারকে একটা রিজনেবল অবস্থায় আনা হবে। বেশি কমানো ঠিক হবে না। মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, পোশাক শিল্প অনেক সুবিধা পায়। তবে তাদের মতো অন্যদের সুবিধা দিলে তারাও ভালো করবে। অন্যরা করপোরেট ট্যাক্স বেশি দেয়। আর পোশাক শিল্প কম দেয়। এই জন্য একটু বাড়িয়েছি।
আহসান এইচ মুনসুর বলেন, তিনি বলেন, একটি অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংকের সুদহার নির্ধারণ করেছে। সুদহার কোনো অ্যাসোসিয়েশনের বেঁধে দেয়া ঠিক নয়। সুদহার কত হবে তা বাজার নির্ধারণ করবে। তাই এটি বাজারের ওপরে ছেড়ে দেয়া উচিত। তবে ১০ শতাংশের ঋণের সুদহার থাকা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ভালো নয়। তার মতে, যেসব ব্যাংক ঋণের সুদের হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনবে, এমন ব্যাংকের ক্ষেত্রে বাজেটে প্রস্তাবিত করপোরেট কর আরোপ করা উচিত।
আদিব এইচ খান তার মূল প্রবন্ধে বাজেটে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনার করার সুপারিশ করেন।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status