বাংলারজমিন
ফুলবাড়ীয়ার ভিজিএফ-এর চাল নিয়ে কারসাজি
ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
২২ জুন ২০১৮, শুক্রবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নে ঈদের আগে দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের কথা থাকলেও তা বিতরণ করা হচ্ছে ঈদের পরে। গতকাল বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভিজিএফ বিতরণকালে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে উপস্থিত হয়ে কয়েকজন উপকারভোগীর চাল পরিমাপ করে চাল কম দেয়ার সততা পাওয়া যায়। বিতরণের শেষ পর্যায়ে প্রায় ৭০ বস্তার মতো চাল উদ্বৃত্ত থাকে। স্থানীয়রা বলছেন গরিব ও দুস্থরা চাউলের কার্ড না পাওয়ায় কার্ডগুলো কালো বাজারে বিক্রি হয়ে গেছে। আপনারা (সংবাদকর্মীরা) স্থান ত্যাগ করলে তা ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করা হবে। ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ডধারীদের চাল বিতরণে কম দেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দোকানে উপকারভোগীর কার্ডের চাল ডিজিটাল পদ্ধতিতে ৫ জন কার্ডধারীর চাল পরিমাপ করা হয়, প্রত্যেকের কার্ডে ৭ থেকে ৮ কেজি চাল পাওয়া যায়। বিতরণকালে ট্যাগ অফিসারকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও ৪ নং ওয়ার্ডের উজ্জ্বলসহ চার কার্ডের চাল পরিমাপ করে সেখানে পাওয়া যায় ৭ কেজি করে। ৮-১০ বছর বয়সের অনেক বাচ্চাকে একাধিকবার চাল উত্তোলন করতে দেখা গেলে, সে ব্যাপারে চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, উপস্থিত বিতরণকারীদের সাফ জানিয়ে দেন একজন যাতে দু’বার না আসতে পারে। উত্তোলনকারী শিশুরা জানিয়েছে, প্রতিকার্ডে চাল তুলে দিতে পারলে ১০ টাকা করে মিলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফড়িয়ারা (চাল ক্রেতা) জানান, ১৪০-১৬০ টাকা ধরে কার্ড কিনেছেন, উঠানো বাবদ ১০ টাকা খরচ। ঈদকেন্দ্রিক ভিজিএফ ঈদের আগে বিতরণ করার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান চাল তুলে ইউপি গোডাউনে মজুত করে কারসাজির মাধ্যমে ঈদের পরে বিতরণ করায় অনেক অসচ্ছল ব্যক্তি বাদ পড়েছেন বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল। চাল উদ্বৃত্ত বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম মাস্টার জানান, বাহিরের গোডাউন থেকে আনার কারণে চাল বেশি হয়েছে, আমাদের উপজেলা গোডাউন থেকে আনলে কম পড়তো। উদ্বৃত্ত চাল উপস্থিত গরিব ও এতিমখানায় দিয়ে দেয়া হবে বলে তিনি প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন। ট্যাগ অফিসার বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, তিনি সকালে এসেছিলেন আপনারা আসার কিছুক্ষণ তিনি চলে গেছেন।