দেশ বিদেশ

ব্যাংকের আমানত ও ঋণের সুদের হার নির্ধারণে সরকার হস্তক্ষেপ করে না

সংসদ রিপোর্টার

২১ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, বিদ্যমান বাজার অর্থনীতির আওতায় সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকসমূহের তারল্য ও বিনিয়োগের সুযোগের ওপর ভিত্তি করে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে আমানত ও ঋণের সুদ হার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণত বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সরকার হস্তক্ষেপ করে না। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর-পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সংরক্ষিত আসনের সদস্য বেগম সানজিদা খানমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, সরকারি ও বেসরকারি তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকে প্রাপ্ত গত মে মাসের আমানতের সুদ হারের বিবরণী হতে দেখা যায়, ব্যাংকগুলো সঞ্চয়ী আমানতের উপর সর্বনিম্ন দশমিক ৪০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ, মেয়াদি আমানতের ওপর সর্বনিম্ন ২ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদ এবং স্পেশাল নোটিশ ডিপোজিটের ওপর সর্বনিম্ন দশমিক ১০ শতাংশ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ সুদ দিয়েছে। আওয়ামী লীগের বেগম উম্মে রাজিয়া কাজলের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংক লো ইনকাম কমিউনিটি হাউজিং সাপোর্ট প্রকল্পে ৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ৩০শে জুন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি জানান, নিম্ন আয়ের মানুষের উন্নত আবাসন তৈরিতে বিশ্বব্যাংক ঋণ সহায়তা করছে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো দুটি সিটি করপোরেশন ও একটি পৌরসভা এলাকার ১৯টি কমিউনিটিতে দরিদ্র বস্তিবাসীদের জন্য আবাসন তৈরিতে সহায়তা, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, রাস্তা-ড্রেন নির্মাণ ইত্যাদি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বস্তিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করবে। সরকারি দলের বজলুল হক হারুনের প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার সঙ্গে বৈদেশিক সাহায্য বাবদ ৪০৪ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে। একই সময়ে পাওয়া গিয়েছে ৪৫৯ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কমিটমেন্ট ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ডিসবার্সমেন্ট ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কম হয়েছে বলেও তিনি জানান। জাতীয় পার্টির সদস্য সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালের ১লা জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ৩০শে জুন পর্যন্ত বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার সঙ্গে ৭৩৩টি চুক্তি হয়েছে। তারমধ্যে ২৬৩টি ঋণ চুক্তি ও ৪৭০টি অনুদান চুক্তি। এসব চুক্তির সঙ্গে জড়িত অর্থের পরিমাণ ৫৫ হাজার ৬৮৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তারমধ্যে ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার ৩৬১ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও অনুদানের পরিমাণ ৫ হাজার ৩২২ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, দেশে একটি আধুনিক, দক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নিরাপদ ডিজিটাল ব্যাংক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। একইসঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে ই-কমার্স লেনদেনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পেমেন্ট এগ্রিগেটর বা মার্চেন্ট পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান এবং ই-ওয়ালেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের লাইসেন্স প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও ইলেকট্রনিক লেনদেন ব্যবস্থার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status