দেশ বিদেশ
ব্যাংক ঋণের সুদ হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২১ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
ব্যাংক ঋণের সুদের হার এক অঙ্কে (সিঙ্গেল ডিজিট) নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি)। গতকাল গুলশানের নিজস্ব কার্যালয়ে বিএবি’র চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার এ ঘোষণা দেন। বৈঠকে দেশের বেসরকারি খাতের প্রায় সব ব্যাংকের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। ঘোষণা অনুযায়ী তিন মাস মেয়াদি আমানতে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদ দেবে ব্যাংকগুলো। ঋণে ৯ শতাংশের বেশি সুদ নেবে না। ১লা জুলাই থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএবি’র চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোনো ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে তারা আরো একটি বৈঠক করবেন বলে জানান তিনি।
বিএবি সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের ধারা চাঙ্গা করতে জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে তিন মাস মেয়াদি আমানতের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৬ শতাংশ আর ঋণের সুদহার হবে ৯ শতাংশ। এর চেয়ে কোনো ব্যাংক সুদ বেশি নিতে পারবে না। যেসব ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ইতিমধ্যে আগামী ১লা জুলাই থেকে বেসরকারি খাতের ৫টি ব্যাংক ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামানোর ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, এসআইবিএল, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংক প্রায় ৫০ শতাংশ ব্যাংক খাতের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা যদি সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণ নেয়ার ঘোষণা দেয় তাহলে আমরা কেন পারবো না?
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণের সুদহার নামাতেই হবে। বিএবি’র সিদ্ধান্ত যদি কোনো ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) না মেনে বেশি সুদে আমানত রাখে তাদের বিরুদ্ধে পরিচালক ও চেয়ারম্যানরা ব্যবস্থা নেবে। এ ক্ষেত্রে যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে আমরা (উদ্যোক্তারা) দেখবো। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাশে আছেন। উনি আমাদের সুযোগ-সুবিধা দেখবেন।
ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালক ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এ সময় সুদহার কমানোর এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনজিবি) চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। তবে এখন কম সুদে ঋণ দিলে ব্যাংক ব্যবসায় যে ক্ষতি হবে তা পূরণে কী করা যায় তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই সঙ্গে আমানত সংগ্রহে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা হয় তা বন্ধের দাবি জানান তিনি।
সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালক আজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলো একদিকে কম সুদে আমানত নিতে পারছে না। অন্যদিকে বেশি সুদে ঋণ দিলে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। এখন আমরা ব্যাংক টেকাবো নাকি ব্যবসা টেকাবো- এ নিয়ে চিন্তায় আছি। বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল এস এম পারভেজ বলেন, ব্যাংকের সুদহার কমানোর পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রের দিকে নজর দিতে হবে। এখানে সুদহার বেশি। তাই অনেক ব্যবসায়ী সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন। এটি বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ব্যাংকের সুদহার কমিয়ে লাভ হবে না।
এসব বিষয়ে বিএবি সভাপতি বলেন, যেসব বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে আমরা এগুলো দেখবো। এছাড়া সুদহার কমানোর সিদ্ধান্তের বিষয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে জানাবো। আশা করছি, বাংলাদেশ ব্যাংক সুদহার কমানোর বিষয়ে সহযোগিতা করবে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
এর আগে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিনিয়োগে মুনাফার হার সিঙ্গেল ডিজিটে বা এক অঙ্কে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। আগামী ১লা জুলাই থেকে এ হার কার্যকর হবে। একই সঙ্গে আরো চারটি ব্যাংক একই ঘোষণা দেয়।
উল্লেখ, সমপ্রতি ব্যাংকের তারল্য সংকটে (নগদ টাকা) ব্যাংকিং খাতে সুদের হার অনেক বেড়ে যায়। বেশি সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল উদ্যোক্তাদের। বর্তমানে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ১৪-১৫ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করছে। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট ট্যাক্স ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭.৫ শতাংশ করা হয়। সমপ্রতি বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছিলেন, ঋণে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার জন্য করপোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে ব্যাংকের সিআরআর ১ শতাংশ কমিয়ে ৫.৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএবি’র চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কোনো ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে তারা আরো একটি বৈঠক করবেন বলে জানান তিনি।
বিএবি সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের ধারা চাঙ্গা করতে জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে তিন মাস মেয়াদি আমানতের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৬ শতাংশ আর ঋণের সুদহার হবে ৯ শতাংশ। এর চেয়ে কোনো ব্যাংক সুদ বেশি নিতে পারবে না। যেসব ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, ইতিমধ্যে আগামী ১লা জুলাই থেকে বেসরকারি খাতের ৫টি ব্যাংক ঋণের সুদহার এক অঙ্কে নামানোর ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, এসআইবিএল, ইউনিয়ন ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক রয়েছে। এসব ব্যাংক প্রায় ৫০ শতাংশ ব্যাংক খাতের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা যদি সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণ নেয়ার ঘোষণা দেয় তাহলে আমরা কেন পারবো না?
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণের সুদহার নামাতেই হবে। বিএবি’র সিদ্ধান্ত যদি কোনো ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) না মেনে বেশি সুদে আমানত রাখে তাদের বিরুদ্ধে পরিচালক ও চেয়ারম্যানরা ব্যবস্থা নেবে। এ ক্ষেত্রে যদি কোনো সমস্যা হয় তাহলে আমরা (উদ্যোক্তারা) দেখবো। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাশে আছেন। উনি আমাদের সুযোগ-সুবিধা দেখবেন।
ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালক ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এ সময় সুদহার কমানোর এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনজিবি) চেয়ারম্যান নিজাম চৌধুরী বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত। তবে এখন কম সুদে ঋণ দিলে ব্যাংক ব্যবসায় যে ক্ষতি হবে তা পূরণে কী করা যায় তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একই সঙ্গে আমানত সংগ্রহে যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা হয় তা বন্ধের দাবি জানান তিনি।
সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালক আজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যাংকগুলো একদিকে কম সুদে আমানত নিতে পারছে না। অন্যদিকে বেশি সুদে ঋণ দিলে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। এখন আমরা ব্যাংক টেকাবো নাকি ব্যবসা টেকাবো- এ নিয়ে চিন্তায় আছি। বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে।
এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল এস এম পারভেজ বলেন, ব্যাংকের সুদহার কমানোর পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রের দিকে নজর দিতে হবে। এখানে সুদহার বেশি। তাই অনেক ব্যবসায়ী সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন। এটি বন্ধ করতে হবে। তা না হলে ব্যাংকের সুদহার কমিয়ে লাভ হবে না।
এসব বিষয়ে বিএবি সভাপতি বলেন, যেসব বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে আমরা এগুলো দেখবো। এছাড়া সুদহার কমানোর সিদ্ধান্তের বিষয় প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে জানাবো। আশা করছি, বাংলাদেশ ব্যাংক সুদহার কমানোর বিষয়ে সহযোগিতা করবে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
এর আগে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বিনিয়োগে মুনাফার হার সিঙ্গেল ডিজিটে বা এক অঙ্কে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। আগামী ১লা জুলাই থেকে এ হার কার্যকর হবে। একই সঙ্গে আরো চারটি ব্যাংক একই ঘোষণা দেয়।
উল্লেখ, সমপ্রতি ব্যাংকের তারল্য সংকটে (নগদ টাকা) ব্যাংকিং খাতে সুদের হার অনেক বেড়ে যায়। বেশি সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল উদ্যোক্তাদের। বর্তমানে বেসরকারি ব্যাংকগুলো ১৪-১৫ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করছে। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের করপোরেট ট্যাক্স ৪০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৭.৫ শতাংশ করা হয়। সমপ্রতি বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছিলেন, ঋণে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার জন্য করপোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে ব্যাংকের সিআরআর ১ শতাংশ কমিয়ে ৫.৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার।