বাংলারজমিন
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তে ভাঙন বাড়িঘর নদীতে বিলীন
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২১ জুন ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৮:০৯ পূর্বাহ্ন
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপ্রান্তে গ্রামরক্ষা বাঁধে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ি ও বেলটিয়া গ্রামের ১৫-২০টি বাড়ি যমুনা নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট। ভাঙনের ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুর গাইড বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। নদীর পানি বৃদ্ধি, নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) গাফলতিকেই এ অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন বাড়িঘর হারা মানুষ।
সরজমিন দেখা যায়, যমুনা নদী তীরবর্তী বঙ্গবন্ধু সেতুর দেড় কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ধসে পড়েছে। কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ি ও বেলটিয়া গ্রামের আকবর আলী আকন্দ, চাঁন মিয়া হাজি, আব্দুল আলী মণ্ডল, আব্দুস সালাম, জোনাব আলী তালুকদার, দোকানদার আবুল হোসেন, কোরবান আলী, আকবর সিকদার, আশরাফ আলী, সোলায়মান, শফিক উদ্দিন, জহুরুল ইসলাম, খালেদ মণ্ডলসহ আরো অনেকের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে। তারা অন্যের বাড়িতে এবং খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
বেলটিয়া গ্রামের রাশিদা বেগম নামে এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমাগো পাকা দেয়াল করা ঘর, টিউবওয়েল, টয়লেটসহ সব কিছুই নদীতে চইলা গেছে। এহন অন্যের জায়গায় কষ্ট করে কোনোমতে থাকতাছি। বাড়িহারা একই গ্রামের আকবর আলী আকন্দ বলেন, গত বছরও ভাঙনে ম্যালা মাইনসের ঘরবাড়ি নদীতে চইলা গেছে। এবারো বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই তীব্র ভাঙন শুরু হইছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করলে আমাদের রক্ষা নাই।’ ভাঙনের শিকার ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, সেতু এলাকার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে নদী থেকে বালু উত্তোলন অবৈধ। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এবং বিবিএ’র কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বালু উত্তোলন করেন। তাই আমাদের এই অবস্থা। এতে দেশের বৃহত্তর স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সেতু হুমকির মুখে পড়েছে। সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, শুকনো মৌসুমে যখন নদীতে পানি কম থাকে, তখন যদি বিবিএ কাজ করতো তাহলে এই ভাঙন হতো না। শত শত মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হতো না। এজন্য ওরাই দায়ী।
কালিহাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমি ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষকে ভাঙনরোধে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল গাফলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তবে এই ভাঙনে সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না। ভাঙন ঠেকাতে সাময়িকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
সরজমিন দেখা যায়, যমুনা নদী তীরবর্তী বঙ্গবন্ধু সেতুর দেড় কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ধসে পড়েছে। কালিহাতী উপজেলার গড়িলাবাড়ি ও বেলটিয়া গ্রামের আকবর আলী আকন্দ, চাঁন মিয়া হাজি, আব্দুল আলী মণ্ডল, আব্দুস সালাম, জোনাব আলী তালুকদার, দোকানদার আবুল হোসেন, কোরবান আলী, আকবর সিকদার, আশরাফ আলী, সোলায়মান, শফিক উদ্দিন, জহুরুল ইসলাম, খালেদ মণ্ডলসহ আরো অনেকের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে চলে গেছে। তারা অন্যের বাড়িতে এবং খোলা জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন।
বেলটিয়া গ্রামের রাশিদা বেগম নামে এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমাগো পাকা দেয়াল করা ঘর, টিউবওয়েল, টয়লেটসহ সব কিছুই নদীতে চইলা গেছে। এহন অন্যের জায়গায় কষ্ট করে কোনোমতে থাকতাছি। বাড়িহারা একই গ্রামের আকবর আলী আকন্দ বলেন, গত বছরও ভাঙনে ম্যালা মাইনসের ঘরবাড়ি নদীতে চইলা গেছে। এবারো বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই তীব্র ভাঙন শুরু হইছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ না করলে আমাদের রক্ষা নাই।’ ভাঙনের শিকার ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, সেতু এলাকার ৬ কিলোমিটারের মধ্যে নদী থেকে বালু উত্তোলন অবৈধ। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এবং বিবিএ’র কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে সরকার দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বালু উত্তোলন করেন। তাই আমাদের এই অবস্থা। এতে দেশের বৃহত্তর স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সেতু হুমকির মুখে পড়েছে। সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, শুকনো মৌসুমে যখন নদীতে পানি কম থাকে, তখন যদি বিবিএ কাজ করতো তাহলে এই ভাঙন হতো না। শত শত মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হতো না। এজন্য ওরাই দায়ী।
কালিহাতী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদার বলেন, আমি ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। অসহায় মানুষের কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষকে ভাঙনরোধে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল গাফলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তবে এই ভাঙনে সেতুর কোনো ক্ষতি হবে না। ভাঙন ঠেকাতে সাময়িকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।