বাংলারজমিন
ডিমলায় পৃথক ঘটনায় গৃহবধূ ও শ্রমিক খুন
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
২০ জুন ২০১৮, বুধবার, ১০:১৪ পূর্বাহ্ন
নীলফামারীর ডিমলায় যৌতুকের কারণে গৃহবধূকে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। অপর দিকে শ্রমিকের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত এক শ্রমিকের চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের (চেয়ারম্যানপাড়া) গ্রামের মৃত আবদুল গণির পুত্র জুল হোসেন (৩৭) এর সঙ্গে বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দর খাতা গ্রামের আহেদ আলীর কন্যা রাশেদা (২৮) এর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় গত ১২ বছর আগে। বিয়ের পরে তাদের কোলজুড়ে রাকিব (১১) ও জুই আক্তার (৫) নামের দুটি সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর হতে রাশেদার স্বামী জুল হোসেন (৩৭) ও ভাসুর আবদুল জলিল (৪৫), জাবেদ আলী (৪০), জামাল হোসেন (৫৫), জয়নাল আবেদিন (৫০) যৌতুকের জন্য বিভিন্ন অজুহাতে রাশেদাকে নির্যাতন করে আসতো। সোমবার দুপুরে রাশেদার সঙ্গে তার স্বামী ও ভাসুরদের সঙ্গে যৌতুকের বিষয় নিয়ে ঝগড়া বাধে। ঝগড়ার জের ধরে যৌতুকের জন্য রাশেদাকে স্বামী ও ভাসুর মিলে বেধড়ক মারপিট করে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে রাশেদা আত্মহত্যা করেছে বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। রাশেদাকে ডিমলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় রাশেদার স্বামী জুল হোসেন হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত লোকজন তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ডিমলা থানা পুলিশ হাসপাতাল হতে রাশেদার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে। এ সময় রাশেদার স্বামী জুল হোসেনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
ডিমলা থানার সাব ইন্সপেক্টর আবদুর রহিম বলেন, গতকাল রাশেদার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাশেদার ভাই আসাদুল বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ডিমলা থানায় হত্যা মামলা নং ১৬ দায়ের করেন। অপর দিকে উপজেলার ছানতাই বালাপাড়া গ্রামে শ্রমিকের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে কামরুল ইসলাম (৩৫) পিতা ছলিমুদ্দিন সঙ্গে একই গ্রামের আবদুর রহিম (২৫) গংয়ের গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় সংঘর্ষ হলে কামরুল গুরুতর আহত হয়। আহত কামরুলকে প্রথমে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে কামরুলের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে কামরুলের স্ত্রী বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ডিমলা থানায় হত্যা মামলা করেন।
ডিমলা থানার সাব ইন্সপেক্টর আবদুর রহিম বলেন, গতকাল রাশেদার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রাশেদার ভাই আসাদুল বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ডিমলা থানায় হত্যা মামলা নং ১৬ দায়ের করেন। অপর দিকে উপজেলার ছানতাই বালাপাড়া গ্রামে শ্রমিকের টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে কামরুল ইসলাম (৩৫) পিতা ছলিমুদ্দিন সঙ্গে একই গ্রামের আবদুর রহিম (২৫) গংয়ের গত শুক্রবার বিকাল ৩টায় সংঘর্ষ হলে কামরুল গুরুতর আহত হয়। আহত কামরুলকে প্রথমে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার রাতে কামরুলের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে কামরুলের স্ত্রী বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ডিমলা থানায় হত্যা মামলা করেন।