এবার ভেঙেছে কুশিয়ারার বাঁধ, ২৫ গ্রাম প্লাবিত

এবার ভেঙেছে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ। পানি প্রবেশ করছে সকাল থেকে রাজনগরের উত্তরভাগ ইউনিয়নে। মনু ডাইকের উত্তরভাগ ইউনিয়নের হলদিগুল (কালাইগুল) এলাকায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে এই ভাঙন দেখা দেয় আজ ভোর বেলা। এই পানি প্রবেশ অব্যাহত থাকায় উত্তরভাগ, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ২০/২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এদিকে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীর একটি টিম,পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে এই ভাঙন মেরামতের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছেন। ভরা হচ্ছে বস্তায় মাটি, বাঁশ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদিকে উত্তরভাগ ইউপি চেয়ারম্যান শাহ শাহিদুজ্জামান ছালিক সাংবাদিকদের জানান এই ভাঙনের কারণে ইতিমধ্যে ২০/২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়েছে। সময় বাড়ার সঙ্গে আরো বাড়বে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও অন্যান্য সূত্র থেকে জানা যায় মনুনদীর উৎস মূখে পানি (ভারত থেকে নেমে আসা পানি) বৃদ্ধিও কারণে সেখান থেকে নেমে আসা পানি ও বৃষ্টিপাত মিলে গত সপ্তাহের শুরু থেকে মনু কুশিয়ারা ও ধলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। গত ১২ই জুন রাত থেকে মনু ও ধলাই নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের অন্তত (মনু প্রতিরক্ষা বাঁধে ১২, ধলাই বাঁধে ৬, কুশিয়ারা ১) ১৯টি স্থানে ভাঙনের ফলে জেলার কুলাউড়া, কমলগঞ্জ, রাজনগর উপজেলা, মৌলভীবাজার শহর ও সদর উপজেলা আংশিক বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। এখনো শহরের বড়হাট এলাকাসহ পশ্চিম অংশের কিছু স্থান থেকে বন্যার পানি নামেনি। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডেও সহকারী প্রকৌশলী মুখলেছুর রহমান মুঠোফোনে জানিয়েছেন, ভোর বেলা হলদিগুল নামক স্থানে এই ভাঙন দেখা দেয়। ২৫/৩০ ফুটের এ ভাঙনটি মেরামত করার জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব লোক জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় চেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা ভাঙনটি মেরামত করা যাবে।