দেশ বিদেশ
ইউএই বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী রাষ্ট্র হতে চায়: রাষ্ট্রদূত
কূটনৈতিক রিপোর্টার
১৯ জুন ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:০১ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সাঈদ মোহাম্মদ আলমেহরি বলেছেন যে, তার দেশ বাংলাদেশের প্রধান বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের একজন হতে চায়। গতকাল বিকালে রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত এ কথা জানান। তিনি বলেন, আমরা সারা বিশ্বে অনেক দেশে এক নম্বর বিনিয়োগকারী এবং আমার দেশও বাংলাদেশের প্রধান বিনিয়োগকারী হতে চায়। নবনির্বাচিত এ রাষ্ট্রদূত জানান, ঢাকায় তার মেয়াদকালে উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবেন। বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে বলেন, আমি এটি নিশ্চিত করতে কাজ করবো। এক প্রশ্নের জবাবে সাঈদ মোহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে শ্রমবাজার পুনরায় চালু করার জন্য আমি উভয়পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছি। ইয়েমেনের বন্দর নগরী হোদাইদিয়ায় চলমান সামরিক অভিযানের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, আরব জোটের সামরিক অভিযানের পাশাপাশি যুদ্ধক্ষেত্র এলাকায় ব্যাপক মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। হুতি বিদ্রোহীদের কাছ থেকে হোদাইদিয়া বন্দর নগরীকে মুক্ত করার মাধ্যমে ইয়েমেনের মানুষকে মানবিক সাহায্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য এ কার্যক্রমটি পরিচালনা করা হয়েছে। বেসামরিক জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ দূর করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। সাঈদ মোহাম্মদ আলমেহেরি বলেন, সামরিক ও মানবিক কর্মসূচির তিন বছরের অবরোধের পর জাতিসংঘের পূর্ববর্তী বিশেষ দূত দুর্ভাগ্যজনকভাবে হাউসগুলিকে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়নি। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি হোদাইদা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে। একটি প্রশ্নের উত্তরে এ রাষ্ট্রদূত বলেন, শত্রুদের সঙ্গে আচরণ করার সময় বেসামরিক প্রভাব কমিয়ে আনা হয়েছে এবং তা নিশ্চিত করার জন্য অসাধারণ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যদিও শত্রু গ্রামগুলোর মধ্যে স্নাইপারদের নিয়োজিত করে এবং খাঁটিভাবে ব্যবহৃত খনিগুলোতে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তারা সহিংস অভিযান পরিচালনা করে ও বজায় রাখেন। আরব কূটনীতিক বলেন, আরব জোট ইতিমধ্যে এয়ারপোর্ট মুক্ত করেছে এবং অপারেশন সত্ত্বেও হোদাইদা বন্দরটি স্বাভাবিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং বর্তমানে বেশকিছু জাহাজ থেকে পণ্য ও সরবরাহের করছে। খাদ্য ও ওষুধভর্তি ১০টি জাহাজ ইতোমধ্যে সরবরাহে বন্ধ হয়ে গেছে যা হোদাইদার পথে চলেছে এবং সড়কের উত্তর থেকে অ্যাডেন থেকে পূর্বাঞ্চলের সরবরাহের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ইয়েমেনের সাধারণ জনগণ ইরান সমর্থিত ধর্মীয় চরমপন্থিদের দ্বারা শাসিত হতে চায় না, তাদের দখল থেকে মুক্ত হতে চান বলেও এ রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। হোদাইদা ও আরব জোটের লোকেরা শহরটিকে মুক্ত করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে। কারণ এটি যুদ্ধকে সংক্ষিপ্ত করবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, ইয়েমেনি সংলাপের উপর ভিত্তি করে একটি ব্যাপক রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য তার দেশের প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে প্রাসঙ্গিক মীমাংসার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাজ করছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই প্রক্রিয়ার রাজনৈতিক পরিণতিতে হস্তক্ষেপ করার ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোনও আগ্রহ নেই, যা ইয়েমেনিদের ভাগ্য তাদেরকেই নির্ধারণ করা উচিত।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, ইয়েমেনি সংলাপের উপর ভিত্তি করে একটি ব্যাপক রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য তার দেশের প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে প্রাসঙ্গিক মীমাংসার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কাজ করছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই প্রক্রিয়ার রাজনৈতিক পরিণতিতে হস্তক্ষেপ করার ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কোনও আগ্রহ নেই, যা ইয়েমেনিদের ভাগ্য তাদেরকেই নির্ধারণ করা উচিত।