তারকা সাক্ষাতকার
‘পেনাল্টি মিস অস্বাভাবিক নয়’
১৭ জুন ২০১৮, রবিবার, ৪:০৩ পূর্বাহ্ন
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে লিওনেল মেসির পেনাল্টি মিসকে অস্বাভাবিক হিসেবে দেখেন না বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও গোলরক্ষক আমিনুল হক। দুইদলের নৈপুন্য ও ম্যাচের ফলাফল বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, ফুটবলে পেনাল্টি মিস খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এক্ষেত্রে আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক হ্যালদেরসনকে ক্রেডিট দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, পেনাল্টি সেভ ছাড়াও আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক কয়েকটি দূর্দান্ত সেভ করেছেন। আমার বিশ্বাস বিশ্বকাপের পর তিনি বড় কোন ক্লাবে সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে মেসি কিন্তু কড়া মার্কিংয়ের মধ্যে থেকেও বেশকিছু প্রচেষ্টা চালিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার বিবেচনায় আর্জেন্টিনা দলটি পুরোপুরি মেসি নির্ভর। মেসিকে বেইজ করেই নির্ধারিত হচ্ছে দলটির পরিকল্পনা ও মাঠের খেলা। অন্যদিকে আইসল্যান্ড বিশ্বকাপের আসরে নতুন দল হতে পারে কিন্তু তাদের ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। দলটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, তাদের খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা। টেকনিক্যালিও আইসল্যান্ড বেশ স্ট্রং দল। তাদের খেলোয়াড়রা লম্বা সময় ধরে একসঙ্গে খেলছে এবং তাদের মধ্যে বোঝাপড়া বেশ ভালো। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে আইসল্যান্ডের ডিফেন্স ছিল প্রাচীরের মতো। পাশাপাশি তারা কাউন্টার এ্যাটাক করার চেষ্টা করেছে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে তারা একটি গোলও পেয়েছে। আমিনুল বলেন, আইসল্যান্ড দ্বিতীয় রাউন্ডে গেলে তাদের নৈপুন্য আরও পরিশীলিত রূপে প্রকাশ পাবে।
পেনাল্টি মিস হওয়ার বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমিনুল হক বলেন, পেনাল্টির সময় গোলরক্ষক ও যিনি শট নিচ্ছেনÑ দুইজনই স্নায়ুচাপে ভোগেন। তবে দুজনের মধ্যে স্নায়ুচাপটা কিছুটা কম থাকে গোলরক্ষকের। কারণ সেভ করতে পারলে খুবই ভালো, না পারলেও ব্যক্তিগতভাবে বড় ক্ষতি নেই। অন্যদিকে যিনি শট নিচ্ছেন তারা জন্য স্নায়ুচাপটা বেশি। কারণ পেনাল্টি দলের জন্য সুযোগ। ব্যক্তিগতভাবেও গোল করতে পারলে যতটা না কৃতিত্ব, ব্যর্থ হলে দায় অনেক বেশি। আর এ জায়গায় হ্যালদেরসনের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন মেসি। গোলরক্ষক যেমন খেলোয়াড়ের পাসহ শরীরের মুভমেন্ট নজরে রাখেন, খেলোয়াড়ও গোলরক্ষকের শারীরিক মুভমেন্ট নজরে রাখে। মেসি একটু তাড়াহুড়ো করেছেন। কিছুটা সময় নিলে হয়তো এমনটি হতো না। এক্ষেত্রে আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক মেসির মুভমেন্ট পড়তে পেরেছেন এবং সফল হয়েছেন। তার টাইমিংটা মিলে গেছে। অন্যদিকে মেসি গোলরক্ষকের মুভমেন্টটা পড়তে পারেননি। হয়তো অত্যাধিক প্রত্যাশার চাপ কিছুটা হলেও মেসিকে ভূগিয়েছে।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল বলেন, সারাবিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা আর্জেন্টিনার যেমন সূচনা প্রত্যাশা করেছিল তেমনটি হয়নি। মাঠের নৈপুন্য এবং ফলাফল কোনো দিক দিয়েই নয়। আর্জেন্টিনার নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশিত বিজয় না পাওয়ার দায় গোটা দলের। আর এটার দুটি কারণ আমার চোখে পড়ছে। প্রথমত, আর্জেন্টিনা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি। তাদের ফুটবলাররা ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে খেলেন কিন্তু মূল ম্যাচে নিজেদের বোঝাপড়াটা ঠিক মতো হয়নি। কিছুটা খাপছাড়া ভাব ছিল। আর দু’একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে হয়তো তাদের বোঝাপড়া ভালো হতো। দ্বিতীয়ত, আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ ও মধ্যমাঠের খেলোয়াড়রা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তারা একাধিকবার গোলের সুযোগ পেয়েছেন এবং যথারীতি তা মিস করেছেন। আর্জেন্টিনাকে একমাত্র মেসি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্য খেলোয়াড়দের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।
অনুলিখন: কাফি কামাল
তিনি বলেন, আমার বিবেচনায় আর্জেন্টিনা দলটি পুরোপুরি মেসি নির্ভর। মেসিকে বেইজ করেই নির্ধারিত হচ্ছে দলটির পরিকল্পনা ও মাঠের খেলা। অন্যদিকে আইসল্যান্ড বিশ্বকাপের আসরে নতুন দল হতে পারে কিন্তু তাদের ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। দলটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, তাদের খেলোয়াড়দের শারীরিক সক্ষমতা। টেকনিক্যালিও আইসল্যান্ড বেশ স্ট্রং দল। তাদের খেলোয়াড়রা লম্বা সময় ধরে একসঙ্গে খেলছে এবং তাদের মধ্যে বোঝাপড়া বেশ ভালো। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে আইসল্যান্ডের ডিফেন্স ছিল প্রাচীরের মতো। পাশাপাশি তারা কাউন্টার এ্যাটাক করার চেষ্টা করেছে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে তারা একটি গোলও পেয়েছে। আমিনুল বলেন, আইসল্যান্ড দ্বিতীয় রাউন্ডে গেলে তাদের নৈপুন্য আরও পরিশীলিত রূপে প্রকাশ পাবে।
পেনাল্টি মিস হওয়ার বিষয়টি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমিনুল হক বলেন, পেনাল্টির সময় গোলরক্ষক ও যিনি শট নিচ্ছেনÑ দুইজনই স্নায়ুচাপে ভোগেন। তবে দুজনের মধ্যে স্নায়ুচাপটা কিছুটা কম থাকে গোলরক্ষকের। কারণ সেভ করতে পারলে খুবই ভালো, না পারলেও ব্যক্তিগতভাবে বড় ক্ষতি নেই। অন্যদিকে যিনি শট নিচ্ছেন তারা জন্য স্নায়ুচাপটা বেশি। কারণ পেনাল্টি দলের জন্য সুযোগ। ব্যক্তিগতভাবেও গোল করতে পারলে যতটা না কৃতিত্ব, ব্যর্থ হলে দায় অনেক বেশি। আর এ জায়গায় হ্যালদেরসনের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন মেসি। গোলরক্ষক যেমন খেলোয়াড়ের পাসহ শরীরের মুভমেন্ট নজরে রাখেন, খেলোয়াড়ও গোলরক্ষকের শারীরিক মুভমেন্ট নজরে রাখে। মেসি একটু তাড়াহুড়ো করেছেন। কিছুটা সময় নিলে হয়তো এমনটি হতো না। এক্ষেত্রে আইসল্যান্ডের গোলরক্ষক মেসির মুভমেন্ট পড়তে পেরেছেন এবং সফল হয়েছেন। তার টাইমিংটা মিলে গেছে। অন্যদিকে মেসি গোলরক্ষকের মুভমেন্টটা পড়তে পারেননি। হয়তো অত্যাধিক প্রত্যাশার চাপ কিছুটা হলেও মেসিকে ভূগিয়েছে।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল বলেন, সারাবিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা আর্জেন্টিনার যেমন সূচনা প্রত্যাশা করেছিল তেমনটি হয়নি। মাঠের নৈপুন্য এবং ফলাফল কোনো দিক দিয়েই নয়। আর্জেন্টিনার নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশিত বিজয় না পাওয়ার দায় গোটা দলের। আর এটার দুটি কারণ আমার চোখে পড়ছে। প্রথমত, আর্জেন্টিনা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেনি। তাদের ফুটবলাররা ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে খেলেন কিন্তু মূল ম্যাচে নিজেদের বোঝাপড়াটা ঠিক মতো হয়নি। কিছুটা খাপছাড়া ভাব ছিল। আর দু’একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেললে হয়তো তাদের বোঝাপড়া ভালো হতো। দ্বিতীয়ত, আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ ও মধ্যমাঠের খেলোয়াড়রা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। তারা একাধিকবার গোলের সুযোগ পেয়েছেন এবং যথারীতি তা মিস করেছেন। আর্জেন্টিনাকে একমাত্র মেসি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। অন্য খেলোয়াড়দের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।
অনুলিখন: কাফি কামাল